বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর প্রাণী না অন্য কিছু? ফটোগ্রাফারের অভিনব ছবি দেখে হতবাক গোটা বিশ্ব

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলিকে দৈনন্দিন জীবনে আমরা খুব একটা ভালো ভাবে প্রত্যক্ষ করি না। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেগুলির আকার-আকৃতি এতটাই ছোট হয়ে যে সেগুলিকে খালি চোখে দেখাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। যদিও, সঠিক যন্ত্রের মাধ্যমে সেগুলিকে দেখে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। এমতাবস্থায়, অনেকেই সেইসব জিনিসের ছবি তুলতে ভালোবাসেন। যে ছবিগুলি (Pictures) দেখে বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে।

মূলত, আশেপাশের জিনিস বিশেষ করে প্রকৃতিকে একটু কাছ থেকে দেখার জন্য ক্যামেরার লেন্সের প্রয়োজন হয়। যেগুলির মধ্যে মাইক্রো এবং ম্যাক্রো লেন্সের ব্যবহারই বেশি করা হয়। এদিকে, ওই ধরণের ফটোগ্রাফিকে মাইক্রোফটোগ্রাফি বলা হয় থাকে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত একাধিক প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি জনপ্রিয় ক্যামেরা ও লেন্স প্রস্তুতকারী সংস্থা নিকনের (Nikon) পক্ষ থেকে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেটির নাম দেওয়া হয়েছিল “স্মল ওয়ার্ল্ড ফটোমাইক্রোগ্রাফি কম্পিটিশন”।

এমতাবস্থায়, সারা বিশ্বজুড়ে ফটোগ্রাফাররা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এদিকে, সপ্তাহখানেক আগেই এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতাটি গ্রিগোরি টিমিন নামের এক ফটোগ্রাফার জিতেছিলেন। যদিও, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার ইউজেনিজুস কাভালিয়াউসকাস (Eugenijus Kavaliauskas) ওই প্রতিযোগিতায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মূলত, ওই লিথুয়ানিয়ান ফটোগ্রাফার একটি পিঁপড়ের মুখের ছবি তুলেছিলেন। যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতেও শুরু করে। প্রথমবার ওই বিরল ছবিটি দেখলে সবার “গেম অফ থ্রোনস”-এর ড্রাগনের কথা মনে পড়ে যেতে পারে। যদিও, সেটি ছিল একটি পিঁপড়ের মুখের ছবি।

এমতাবস্থায়, ইউজেনিজুস কাভালিয়াউসকাসের ওই ছবিটি সেরা ৬০ টি ছবির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানা যায়। শুধু তাই নয়, ওই জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ছবিটি তুলেছিলেন তিনি। এদিকে, নেটমাধ্যমে পিঁপড়ের এই ভয়াবহ ছবি দেখে স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সবার। পাশাপাশি, এহেন ছবি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর