বাংলাহান্ট ডেস্ক: টেট উত্তীর্ণ অনশনকারী (TET Issue Protest) চাকরিপ্রার্থীদের পুলিসি হেনস্থার ঘটনায় সরব বিভিন্ন মহল। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে করুণাময়ীতে অনশনকারীদের ১৫ মিনিটের মধ্যে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিস। রীতিমতো টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় তাদের। কারোর জায়গা হয় প্রিজন ভ্যানে, কেউ বা অসুস্থ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। বর্বরোচিত ঘটনায় রাজ্য সরকারের নিন্দায় সরব শিল্পী মহল।
অভিনেতা তথা বিজেপির তারকা সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) ধিক্কার দিয়েছেন রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। লিখেছেন, ‘ছিঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!! দূর্নীতিকে আড়াল করতে এত অমানবিক হলেন আপনি? ধন্যবাদ ক্ষমতা ব্যানার্জি। আজ লজ্জিত তৃণমূলীরাও।’
এখানেই থামেননি রুদ্রনীল। একটি কার্টুনও শেয়ার করেছেন তিনি। আঁকা চরিত্রটির পায়ে হাওয়াই চপ্পল, পরনে নীল সাদা শাড়িয উপরে পুলিসের খাকি উর্দি। মুখটা আঁকা হিটলারের আদলে। তার এক হাতে ধরা হাতকড়া, অন্য হাতে একটি প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা ‘চুপ!’
কার্টুনটি নিজেই এঁকেছেন রুদ্রনীল। ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘খুব চেনা চেনা লাগে তাকে… কাক চিলে ভয় পায় যাকে!!’ কমেন্ট বক্সেও মন্তব্যের ঢল নেমেছে নেটিজেনদের। অনেকেই রুদ্রনীলকে সমর্থন করে কটাক্ষ ছুঁড়েছেন। অনেকে আবার ভিন্ন সুরও তুলেছেন।

রুদ্রনীল এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শুরু ওথেকে তিনি একাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে শিক্ষক দিবস পালন করেছেন। অন্য কাউকে পাশে দেখতে পাননি। ‘বুদ্ধিজীবী’ কবিতাটা লেখার পরেই সরব হন অপর্ণা সেন। আরো কয়েকজন তারপরেই একে একে মুখ খুলছেন, দাবি রুদ্রনীলের।
তিনি আরো বলেন, আগে বাংলায় কোনো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটলে বুদ্ধিজীবীরা পথে নামতেন। কিন্তু এখন দেখা যায় অন্য দৃশ্য। সবাই হয় নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত, নয়তো ভয়ে মুখ খুলছেন না। রুদ্রনীলের প্রশ্ন, শাসকদলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না কেন তারকারা? নাকি তারাও তাঁর মতোই কাজ হারানোর ভয় পাচ্ছেন?