বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে কংগ্রেসের সাথে জোট করে ভোটে লড়েছে বামফ্রন্ট। এবার কি বামফ্রন্ট হাত ধরতে চলেছে রামের? বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বামপন্থীদের নিজেদের কাছে আনার কৌশল বিজেপির। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান আলোচনা।
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার একটি ভিডিওতে মন্তব্য করেন, “যারা এখনো সিপিএমে আছেন তারা বিজেপিতে চলে আসুন। কাজ করুন সমাজের জন্য।” ঠিক এই ভাবেই সিপিএম কর্মীদের কাছে আনার চেষ্টা করলেন বিজেপির এই সাংসদ। সুভাষ সরকারের এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, কংগ্রেসের হাত ছেড়ে এবার কি তাহলে রামের হাত ধরতে চলেছে বামপন্থীরা?
এই বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার মাধ্যমে আমাদের কাজ হবে বিজেপিকে নির্মূল করা। গোটা ভারতবর্ষ থেকে বিজেপি বিলুপ্ত হোক। ” যদিও এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তীব্র কটাক্ষ। তার বক্তব্য, “ওদের একা লড়াই করার ক্ষমতা নেই।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, একের পর এক দুর্নীতির ছবি সামনে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল। বাম ও বিজেপি দুই পক্ষই চাইছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আসরে নামতে। কিন্তু আলাদাভাবে লড়াই করলে ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়বে। দুই শিবিরে ভোট ভাগ হয়ে গেলে আখেরে লাভ হবে ঘাসফুলেরই। অন্যদিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শ হওয়ায় বাম ও বিজেপির এক হওয়াও যথেষ্ট মুশকিল। যদি নিচু স্তরে সমঝোতা না হয় সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে এই মুহূর্তে হারানো কঠিন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।