বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রেমিকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) বিপদ আরো বাড়িয়ে নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ খুললেন প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar)। আবারো তিনি দাবি করলেন, জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিনেত্রী এবং তাঁর পরিবারকে বহুমূল্য উপহারও দিয়েছেন তিনি, তবে সেগুলো কোনোটাই জ্যাকলিন নাকি নিজে থেকে চাননি।
২০০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের নাম জড়াতেই প্রেমিকার হয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। এবার ফের অভিনেত্রীর সপক্ষেই সরব হলেন সুকেশ। নিজের হাতে একটি চিঠিতে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি যেটা তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে এনেছেন।
সেখানে চন্দ্রশেখর স্পষ্ট লিখেছেন, প্রতারণা মামলায় জ্যাকলিনের নাম টেনে আনাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তাঁরা দুজনে সম্পর্কে ছিলেন। জ্যাকলিন এবং তাঁর পরিবারকে যে উপহারগুলো তিনি দিয়েছেন সবকিছু নিজের ইচ্ছায় দিয়েছেন। জ্যাকলিন তাঁর কাছ থেকে ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই চাননি।
সুকেশ আরো দাবি করেছেন, প্রতারণার টাকায় না, নিজের বৈধ রোজগার থেকে উপহারগুলো কিনে দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বড় ষড়যন্ত্র ঢাকতে তাঁর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ চাপানো হয়েছে। তবে তাতে কোনো লাভ নেই। কারণ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন, ঘোষনা করে দিয়েছেন চন্দ্রশেখর।
এর আগে ইডির কাছে জ্যাকলিন স্বীকার করেছিলেন, চন্দ্রশেখর তাঁকে কিছু বহুমূল্য উপহার দিয়েছিলেন। তার মধ্যে চারটি ডিজাইনার ব্যাগ, তিন জোড়া ডিজাইনার জুতো, সুগন্ধি, চারটি বিড়াল, একটি ৫২ লাখ টাকার ঘোড়া, দুটো হীরের কানের দুল, একটি হীরের ব্রেসলেট, একটা মিনি কুপারের মতো উপহার ছিল। ইডি দাবি করেছিল, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার উপহার নিয়েছিলেন জ্যাকলিন।
তিনি যদিও দাবি করেছেন, চন্দ্রশেখরের অপরাধের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না, কিন্তু ইডি সেকথা মানতে নারাজ। তদন্তকারীদের দাবি, সুকেশের অপরাধমূলক কাজকর্ম, এমনকি তিনি বিবাহিত জেনেও শুধুমাত্র অর্থের লোভে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জ্যাকলিন। এমনকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন প্রতারককে।
ইডির তরফে সম্প্রতি আরো এক বিষ্ফোরক দাবি করা হয়েছে। মামলার হাত থেকে বাঁচতে নাকি দেশ ছেড়ে পালানোর তাল করছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু তাঁর নামে লুকআউট নোটিস জারি থাকায় পালাতে পারেননি অভিনেত্রী।