বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই মুহুর্তে বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত নাম হল ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। বরিস জনসন, পেনি মর্ডান্টকে (Penny Mordaunt) রাজনৈতিক লড়াইয়ে হারিয়ে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হলেন তিনি। ভারতের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ। একাধারে তিনি ভারতের জামাই, অপরদিকে আবার ব্রিটেনের প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে তিনি এখন ভারতীয়দের ‘নয়নের মণি’।
সুনাকের বাবা যশবীর ও মা ঊষা – দুজনেরই জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে, ভালো কাজের সুযোগে ও পড়াশুনোর জন্য তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যশবীর সুনক ব্রিটেনে একজন জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) ডাক্তার হিসেবে ও ঊষা সুনক ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।
মেধাবী ছাত্র সুনাক আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে এমবিএ-ও করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুনক ব্রিটেনের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার (অর্থমন্ত্রী) হন। সুনাকের আর একটা পরিচয় হল, তিনি ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাতা। নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতার সঙ্গে তার আলাপ স্ট্যানফোর্ডেই, পরে তারা দু’জনে বিয়ে করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন ঋষি সুনক। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ‘লোকাল গভর্নমেন্ট’-এর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০১৯ সালে বরিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার গুরুত্ব আরও বাড়ে। এরপর সরাসরি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বর্তমানে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও জনপ্রিয় মুখ তিনি। এদিকে তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সুনকের।
ভারতীয়দের কাছে ঋষি সুনক জনপ্রিয় হওয়ার আর একটি বড় কারণ হল, তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন ভগবত গীতা থেকে তিনি কতটা অনুপ্রানিত। নির্বাচনের আগে একাধিক বার তাঁকে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিতে দেখা যায়। এমনকি লন্ডনের রাস্তায় সস্ত্রীক ভক্তিভরে গোমাতার পূজাও করেন।