ধর্ষিতা নাবালিকাকে সাহায্যের বদলে ভিডিও করতে ব্যস্ত সবাই, দেবদূত হয়ে এগিয়ে এলেন পুলিশ অফিসার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “মানুষ এখনও মানুষের পাশে” গান টা হয়তো সবাই গায় , কিন্তু মানুষ কি সত্যিই বিপদের সময় কারোর পাশে থাকে? এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো উত্তরপ্রদেশের কনৌজ। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। রাস্তার ধারে কাতরাচ্ছে এক নাবালিকা , তার পোশাক ছিন্নভিন্ন, শরীর রক্তাক্ত। বারবার একটু সাহায্য চাইছে সে। চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কেন? তারা দেখছে। তারা মেয়েটিকে দেখে বুঝতে পারছে যে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গেছে কেউ বা কারা , কিন্তু সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ। নিষ্ঠুর ভাবে শুধু দেখাই তাদের কাজ । কেউ কেউ আবার ভিডিও করছে মেয়েটির। হৃদয়বিদারক এই ঘটনার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে হয়েছে ভাইরাল।

এই ভিডিওর সাথেই আবার এই ঘটনা সম্পর্কিত আরো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে ওই নির্যাতিত নাবালিকাকে পরম স্নেহে আর দুশ্চিন্তায় এক পুলিশ আধিকারিক কোলে করে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি অটোতে ওঠাচ্ছেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এই দ্বিতীয় ভিডিও দেখে ওই পুলিশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সকলে ।

পুলিশ সুপার কুনোয়ার অনুপম সিং এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান , “মেয়েটির সারা শরীরে একাধিক আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল।” খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যায়, পুলিশটি মেয়েটিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নাবালিকার শারিরীক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকায় তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেও শারীরিক উন্নতি হয়নি। সেখানের এক চিকিৎসক নাবালিকাকে কানপুর হাসপাতালে রেফার করতে বাধ্য হন ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ এই দাবি মানতে নারাজ। নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ সুপার অনুপম সিং বলেন “মেয়েটির বয়ান পেলে দোষীকে শনাক্ত করা যাবে। আমরা তারই অপেক্ষায় আছি।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর