টিউশন শেষ করার পর ধর্ষণ! বিষ্ণুপুরে গৃহশিক্ষকের লালসার শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রক্ষক যদি হয় ভক্ষক তাহলে দুর্গতির সীমা থাকেনা। আর যদি শিক্ষকই হয় ধর্ষক? তাহলে নিজের বাচ্চাকে কিভাবে পড়াতে পাঠাবেন বাবা মায়েরা? এরকমই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল বিষ্ণুপুর (Bishnupur)। গৃহশিক্ষক তার এক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে টিউশন পড়ানোর পর নির্মমভাবে ধর্ষণ করে এবং শুধু তাই নয় তা ধামাচাপা দিতে একের পর এক মিথ্যে গল্প ফাঁদে সেই গৃহশিক্ষক। কিন্তু প্রমাণ যাবে কোথায়! তাই পুলিশের হাতে অচিরেই ধরা পড়ল অভিযুক্ত তো গৃহ শিক্ষক। বাঁকুড়ার বিখ্যাত শহর বিষ্ণুপুরের ঘটনা এটি। নাবালিকার পরিবার অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযোগ তো এই গৃহ শিক্ষক বিষ্ণুপুরের মালিপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। সবুজ দে নামক ওই গৃহ শিক্ষক গ্রামের প্রাইমারি সেকশনে বেশ কিছু পড়ুয়াকে প্রাইভেটে টিউশন পড়াতেন। কিছুদিন আগে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যে টিউশন পড়ানোর পর তার গৃহ শিক্ষক সবুজ নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণ করে। অভিযোগ অনুসারে পুলিশ সোমবার সবুজ দেকে গ্রেফতার করে।

নিজের কৃত অপকর্ম ঢাকতে ওই গৃহশিক্ষক সবুজ দে নানান রকম মিথ্যে একের পর এক সাজিয়ে, বানিয়ে বলতে থাকে । পুলিশ সূত্রে খবর, তাকে জেরা করা হলে তিনি জানান , বেশ কিছুদিন ধরে তার বিয়ের জন্য সম্বন্ধ দেখা চলছে কিন্তু কিছুতেই তার বিয়ে ঠিক হচ্ছে না তারপর তাকে এক তান্ত্রিক উপদেশ দেয় যে এক নাবালিকার রক্তমাখা একটি কাপড়ের টুকরো যদি সে অর্পণ করতে পারে দেবী মায়ের কাছে তাহলে তার অচিরেই বিয়ের সম্বন্ধে ঠিক হয়ে যাবে। আর এই কারণেই সে এমন একটি কাজ করে ফেলেছে ভুল করে।

এই বয়ান শোনার পর পুলিশে সেই তান্ত্রিকের পরিচয় জানতে চান কিন্তু তখন মুখে কুলুপ এঁটে থাকে সেই শিক্ষক। তখনই পুলিশ বুঝতে পারে যে গৃহ শিক্ষকের দেওয়া সমস্ত বয়ানই আজগুবি এবং ইচ্ছাকৃত বানিয়ে বলা মিথ্যে কথা। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সবুজদের বিরুদ্ধে পকস আইনের ধারায় মামলা দায়ের করে। গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত কে আদালতে তোলা হয়। বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষককে দুদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর