বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসমের (Assam) মিঞা মিউজিয়ামকে (Miya Museum) উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himant Biswa Sarma) কড়াআক্রমণ আর অবশেষে তাঁর নির্দেশেই মিউজিয়ামে তালা ঝুলিয়ে দিল প্রশাসন। বিতর্ক উস্কে দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “উক্ত মিউজিয়ামে যা রয়েছে, সেক্ষেত্রে লুঙ্গি ছাড়া মিঞাদের কোন কিছুই নেই।” ফলে উক্ত মিউজিয়াম শুরু হওয়ার মাত্র দুদিনের মধ্যেই সরকারের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল সেটি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার অসমের গোয়ালপাড়া এলাকায় একটি মিঞা মিউজিয়াম শুরু করা হয়। অপরদিকে প্রশাসনের দাবি, “মিউজিয়ামটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অনুদানের তৈরি হওয়া বাড়িতে গড়ে উঠেছে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “মিউজিয়ামটির কোন অর্থ নেই। এর মধ্যে যা রাখা হয়েছে, সব কিছুই অসমের জনজাতির পোশাক। লুঙ্গি ছাড়া ওদের আর কিছুই নেই।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এটা কি ধরনের মিউজিয়াম, তা আমার মাথায় ঢুকছে না। এখানে মূলত অসমিয়াদের লাঙল থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে। লুঙ্গি ছাড়া ওদের নিজেদের কিছুই নেই। ওরা প্রমাণ করুক যে লাঙ্গল কিংবা অন্যান্য জিনিসপত্র শুধু মিঞারাই ব্যবহার করে, নাহলে সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এরপরই প্রশাসনের তরফ থেকে উক্ত মিউজিয়ামে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মিঞা পরিষদের সভাপতি মোহর আলির বাড়িতেই উক্ত মিউজিয়ামটি বর্তমানে গড়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে মোহর এবং তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত দায়ের করেছে প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “প্রথমে মিঞা স্কুল আর বর্তমানে মিউজিয়াম। কোথা থেকে এত টাকা পাচ্ছে, তার তদন্ত করা হবে।” উল্লেখ্য, অতীতে বাংলাদেশ থেকে ব্রহ্মপুত্রের চরে কৃষি কাজের স্বার্থে একদল মানুষ এসে পৌঁছায়, পরবর্তীতে এরা মিঞা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।”
প্রসঙ্গত, অতীতেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অসমে একের পর এক মাদ্রাসা ভেঙে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সকল মাদ্রাসা ভাঙা যে তাদের উদ্দেশ্য নয়, সেই বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি কোন মাদ্রাসার ভিতর ভারত বিরোধী কোন কার্যকলাপ ঘটে, তবে তা ভেঙে দেওয়া হবে।” এবার তাঁর নির্দেশেই অবশেষে তালা ঝোলানো হলো মিঞা মিউজিয়ামে।