স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বকেয়া মেটাল সরকার, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১১৫০ কোটি টাকা দিল নবান্ন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ কয়েক বছর আগে রাজ্যবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প সফল হয়েছে বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার। যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছে প্রশাসন।

এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশের অভিযোগ, সময় মতো তাদের বিল মেটায় না রাজ্য। এবার এই সমস্যা মেটানোর জন্য উদ্যোগ নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ২০২২ সালে বেসরকারি হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের বিল বাবদ যা জমা করে তার ৯৫ শতাংশই মিটিয়ে দিয়েছে রাজ্য। সরকারি সূত্রে এমন খবরই জানা যাচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এই অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ভাঁড়ার থেকে গিয়েছে মোট ১৪০০ কোটি টাকা। সরকারি হাসপাতালে যাঁরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করেছিলেন তাঁদের খরচ বাবদ ২৫০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য। বাকি অর্থ বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিল মেটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বাসিন্দারা বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য ২২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্যের বাজেটে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় দুই কোটিরও বেশি পরিবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছে এবং এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে খরচ করা হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা।

চিকিৎসার জন্য ভেলোরে চলে যান অনেকেই। তাঁরা যাতে এরাজ্যেই চিকিৎসা পরিষেবা পান সেজন্য রাজ্য সরকার চুক্তি করেছিল সিএমসি ভেলোরের সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত সেখানে সাত হাজার ৬২০ জন রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন। আর এই খাতে রাজ্যের ব্যয় হয়েছে মোট ৮৭ কোটি ৩৫ লক্ষ্য টাকা। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ফেরানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও তা বন্ধ করাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য প্রশাসন। কোনওভাবেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ফেরানো যাবে না, স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর