বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে ভারতের মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজটিতে হারলেও সিরিজের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল প্রোটিয়া দল। শতরান করেছিলেন রিলি রসৌ এবং অর্ধশতরান করেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। ২০০-র ওপর রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সেই রান তাড়া করতে নেমে পুরোপুরি ওভার ব্যাট করার আগেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রায় একই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটল। শুধুমাত্র প্রতিপক্ষ বদলে গেল এবং প্রতিপক্ষের হারটা আরো লজ্জাজনক হলো।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে করা বিশাল রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অনরিখ নোকিয়ার ঝুলিতে ৪ এবং তাব্রাইজ শামসির নেওয়া ৩ উইকেটের দৌলতে বাংলাদেশকে ২০ ওভারের আগেই অলআউট করে বিশাল জয় পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। রানের হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার এটি। সর্বোচ্চ ৩৪ করেছেন লিটন দাস।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে বৃষ্টির কারণে অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয়েছিল। সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে। সেই ম্যাচে যেখানে নিজের ব্যাটিং শেষ করতে বাধ্য হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক, আজও যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন তিনি। আজ ৩৮ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা সহ ৬৩ রান করে ফেরেন তিনি।
তবে তাকে আজ অনেকটাই ফিকে করে দিয়েছেন রসৌ। ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব নৃত্য করেছেন তিনি বাংলাদেশে বোলারদের ওপর। ৫৬ বলে ১০৯ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। মেরেছেন ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা। এটাই চলতি বিশ্বকাপ কোনও ক্রিকেটারের করা প্রথম শতরান।
মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর কোন বাংলাদেশি বোলারকে দেখে মনে হয়নি তারা এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং লাইনআপকে সমস্যায় ফেলতে পারে। ২০ ওভারে ২০৫ রান তোলার পর বাংলাদেশের ব্যাটিংকেও তছনছ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। মাত্র ১৬.৩ ওভারেই বাংলাদেশকে ১০১ রানে অল-আউট করে দেয় প্রোটিয়া বোলাররা। রসৌয়ের করা ১০৯ রানও টপকাতে পারেনি ১১ জনের বাংলাদেশ দল।