বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় বিপজ্জনক অবস্থায় তৃণমূল। ঘাসফুলের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জি। এমনিতেই ঝালদা পুরসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভাবছিল কংগ্রেস। এরই মধ্যে শিলা চ্যাটার্জির দলত্যাগ নতুন করে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করল ঘাসফুল শিবিরে। গত পুরসভা নির্বাচনে ঝালদায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে জয়লাভ করেছিলেন শিলা চ্যাটার্জি। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলে দল তাকে সভানেত্রী বানায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার হঠাৎ ঝালদার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জি পদত্যাগ করলেন।
এই বিষয়ে শিলা চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, “এলাকার উন্নতির জন্য আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করার পরেও যোগদান করি তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল আমাকে ঝালদা শহর সভানেত্রীর পদেও বসায়। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আমি দল ও সভানেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। জেলা নেতৃত্বকে এই বিষয়টি নিয়ে চিঠিও দিয়েছি।” তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিলা দেবীর পদত্যাগ নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঝালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চিরঞ্জীব চন্দ্র বলেছেন, “দলের কাছে এই পদত্যাগের বিষয় নিয়ে কোন ধরনের তথ্য নেই। তাই কিছু বলতে পারব না।”
তবে তৃণমূল কাউন্সিলরের পদত্যাগের ঘটনায় আশার আলো দেখছে কংগ্রেস। তারা মনে করছে ঝালদা পুরসভা বোর্ডে তৃণমূলের পতন অনিবার্য। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাত এই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস আর ঝালদা পুরসভায় ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। লোভের কারণে শিলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে তৃণমূল।”
গত পুরসভা নির্বাচনে ঝালদা পুরসভায় ১২ টি আসনের মধ্যে পাঁচটি জেতে তৃণমূল ও পাঁচটি জেতে কংগ্রেস। অন্য দুইটিতে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থীরা। এরই মধ্যে এক নির্দল প্রার্থী শিলা চ্যাটার্জী তৃণমূলে এলে পুর বোর্ড গঠন করে ঘাসফুল শিবির। বর্তমান অবস্থায় কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলই রয়েছে সমানে সমানে। এমন অবস্থায় ঝালদা পুরসভার শাসনভার ভবিষ্যতে কার হাতে যায় সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।