বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ নামক একটি প্রবাদ বাংলায় বহুল প্রচলিত। কাল সেই প্রবাদের আক্ষরিক অর্থ হাড়ে হাড়ে টের পেল বাবর আজমের পাকিস্তান। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এক ক্রিকেটারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই আজ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত পাকিস্তানের। এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার আর কেউ নন, তিনি হলেন গতকাল জিম্বাবোয়ের হয়ে ম্যাচের সেরা হওয়া সিকান্দার রাজা।
একসময় তিন বছরেরও বেশি পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স কলেজে পড়েছেন সিকান্দার। বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরীক্ষায় ৬০০০০ জনের মধ্যে থেকে সেরা ৬০ জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে চোখের দুর্বলতার কারণে তিনি বাদ পড়েছিলেন। এরপর দেশ ছেড়ে স্কটল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ওখান থেকেই ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া এবং পরবর্তীতে মা বাবার সাথে জিম্বাবোয়ে গিয়ে স্থিত হওয়া।
গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিকদের উত্তরসূরী হয়ে ওঠা সিকান্দার চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বল হাতে এবং আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলকে সুপার টুয়েলভে তুলতে সাহায্য করেছিলেন। গতকাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয়ের রাতেও বল হাতে তিনি ছিলেন অসাধারণ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বৃষ্টি সিকান্দারদের বাঁচিয়েছিল। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বৃষ্টির কারণে জয়ের দেখা পায়নি কুইন্টন ডি কক-রা। আফ্রিকার দুই দেশ সেদিন নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। তারপর কাল বাংলাদেশকে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রূপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। নেদারল্যান্ডস গ্রূপের সবচেয়ে দুর্বল দল। তাদের বিরুদ্ধে তারা জয় পাবে এমনটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়।
সে ক্ষেত্রে প্রোটিয়ারা যদি রবিবার ভারতকেও হারিয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে চরম সংকটে পড়ে যাবে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। পাকিস্তান সেক্ষেত্রে গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলোই জিতলেও সেমিফাইনালে টিকিট পাবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদিও তারা নিজেরাও হয়তো সবকটি ম্যাচ জিতবে এমনটা আশা করে না। কিন্তু টিমটিমে আশাটুকু টিকিয়ে রাখতে এখন ভারতেরই শরণাপন্ন দুই দেশ।