বাংলাহান্ট ডেস্ক: টুইটার (Twitter) হেডকোয়ার্টার্সের দায়িত্ব নিলেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। টেসলা কর্তা এখন থেকে টুইটারের সিইও-ও বটে। তিনি আসতেই সরেছেন প্রাক্তন ভারতীয় সিইও পরাগ আগরওয়াল। এদিকে মাস্কের আগমনে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। আবারো সগৌরবে টুইটারে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি।
গত বছরেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে টুইটার থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন কঙ্গনা। তাঁর অ্যাকাউন্ট সেই তখন থেকেই সাসপেন্ড হয়ে রয়েছে। টুইটার থেকে তাড়া খেয়ে ইনস্টাগ্রামে এসে ঘাঁটি গাড়েন কঙ্গনা। ইনস্টা স্টোরিতেই নিজস্ব মতামত শেয়ার করেন তিনি। তবে মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নিতে আবারো কঙ্গনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মাস্ককে সাদর স্বাগতম জানিয়েছেন কঙ্গনা। এলন মাস্কের টুইটার সিইও হওয়ার এবং পরাগ আগরওয়ালের সরে যাওয়ার খবর শেয়ার করে হাততালির ইমোজি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আরো দুটি টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। দুই নেটনাগরিক এলন মাস্ককে অনুরোধ জানিয়েছেন, কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্টটি প্রাক্তন বামপন্থী সিইও সাসপেন্ড করে দিয়েছিলেন। বাক স্বাধীনতার কথা মাথায় রেখে তিনি যেন অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দেন।
টুইটদুটি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, নিজের টুইটারের বন্ধুদের খুব মিস করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর এই পোস্ট করেছেন ইঙ্গিত করছে, মাস্ক সিইও হওয়ায় কঙ্গনাও টুইটারে ফেরত আসার আশায় রয়েছেন। শেষমেষ তাঁর প্রত্যাশা পূরণ হয় কিনা সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গত বছর মে মাসে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় কঙ্গনার অ্যাকউন্ট। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কুইন অভিনেত্রী।
একটি টুইটে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। গুন্ডাইকে মারার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাই প্রয়োজন। উনি একজন ভয়াবহ দানবের মতো। তাঁকে আটকানোর জন্য ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদীজি।’ এরপরেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট।