বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বারংবার নাবালিকাকে উত্যক্ত, পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব এবং তা প্রত্যাখ্যান করে দেওয়ায় ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনন্দ দাস নামে এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অপহরণের অভিযোগে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তর সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির মারিশদা এলাকার। অপরদিকে, এগরার বাসিন্দা আনন্দ দাস এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হিসেবে পরিচিত। মগাশার এলাকার নিবাসী ওই নাবালিকাকে অতীতেও একাধিকবার উত্যক্ত করতো অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা প্রত্যাখ্যান হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় সে। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা গেল না তার।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর সময় নাবালিকাটি তার মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তবে সেখানে যে তার জন্য ভয়ংকর ঘটনা অপেক্ষা করে রয়েছে, তার ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি সে। অভিযোগ, পরবর্তীতে ওই যুবকটি নাবালিকাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে বিরক্ত এবং বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া মাঝে নাবালিকার বাবা তৃণমূলের যুব নেতাকে বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর পর্যন্ত করা হয় বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এছাড়া অতিতীতে মারধর পর্যন্ত করেছে সে। সেই কারণেই এতদিন পর্যন্ত থানায় না যেতে পারলেও গতকাল অবশেষে মারিশদা থানায় পৌঁছে যায় তারা। উল্লেখ্য, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের উদ্দেশ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিজেপির দাবি, “রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। সেই কারণেই এহেন ঘটনা ঘটে চলেছে।” আবার অপরদিকে শাসক দল জানিয়েছে, যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।