বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তার আগে বাংলার বুকে একের পর এক গুলি এবং বোমাবাজির ঘটনায় উত্তাল রাজনীতি। কাকিনাড়া এবং নরেন্দ্রপুরের পর এবার নৈহাটির (Naihati) শিবদাসপুরে গুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই শিবদাসপুরের জনবহুল একটি এলাকায় এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ। আহত তিন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কর্মীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, গতকাল নৈহাটির শিবদাসপুর এলাকায় বাইকে করে এলাকায় প্রবেশ করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এবং পরবর্তীতে জাকির হোসেন নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা ছুড়তে থাকে তারা। একের পর এক বোমা ছোড়ার ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি। পরবর্তীতে তিনটি গুলি এসে লাগে জাকিরের শরীরে।
অপরদিকে এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরো দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। ইতিমধ্যেই তাদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভীত সন্ত্রস্ত এলাকার মানুষজন। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের দাবি, অতীতে একটি গ্রাম্য বিবাদের জন্যই এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে জল্পনা রয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর ব্লক-১ সভাপতি বলেন, “আচমকাই এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রা আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। আমাদের কর্মীরা আহত হয়েছে, এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। আমার সঙ্গে ওনাদের কথা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা এলাকার বুকে কখনোই বরদাস্ত করা যায় না। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তবে আশা রাখছি, তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তরা কড়া শাস্তি পাবে।”
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পুলিশে তরফ থেকে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে বোমা উদ্ধারের পাশাপাশি তদন্ত অগ্রসর করে নিয়ে চলেছে প্রশাসন। এখন দেখার, এই ঘটনাটি গ্রাম্য বিবাদের জেরেই, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?