বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিরাট। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি বড় রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি। দ্বিতীয় ক্রিকেটার এবং প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করেছেন। কিন্তু আজ মাত্র ১১ বলে ১২ রান করে তিনি লুঙ্গি এনগিডির শিকার হয়ে ফিরেছিলেন।
টানা দুই ম্যাচ সফল হওয়ার পর একটি ম্যাচের ব্যর্থতা এমনিতে খুব বড় চিন্তার কারণ নয়। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন বিরাট কোহলি। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরা বিরাট কোহলিকে ভৎসনা ভরিয়ে দিচ্ছেন। কেন এমন করছেন প্রতিবেশী দেশের সমর্থকরা?
আসলে আজ সূর্যকুমার যাদবের দাপটে ব্যাটিংয়ে মান রক্ষা করেছিল ভারতীয় দল। পার্থের উইকেট একেবারেই ব্যাটিং বান্ধব ছিল না। কিছুটা সময় নিয়ে সেট হওয়ার আগেই বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যাটসম্যান নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্য কুমার যাদবের ৬৮ রানের ইনিংসের উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে কিছুটা লড়াই করার মত স্কোর খাড়া করেছিল ভারতীয় দল।
রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা শুরুতে অত্যন্ত সঙ্গীন হয়ে পড়েছিল। ফর্মে থাকা দুই তারকা কুইন্টন ডি কক এবং রিলি রসৌয়ের উইকেট এক ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন অর্শদীপ। দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শামি। এই অবস্থায় চাপে থাকা এইডেন মার্করম অশ্বিনের প্রথম ওভারে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন। অত্যন্ত সহজ ক্যাচ হলেও মিড উইকেটে উপস্থিত বিরাট কোহলি ক্যাচটি ফেলে দেন।
এরপর অর্ধশতরান করে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার কাজটা করে যান মার্করম। এরপরই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা অভিযোগ করে তুলেছেন যে বিরাট কোহলি ক্যাচটি ইচ্ছা করে ফেলেছেন। এইমুহূর্তে বিরাট কোহলি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফিল্ডারদের মধ্যে একজন। তিনি ওরকম সহজ ক্যাচ ফেলতে পারেন এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না প্রতিবেশী দেশের সমর্থকরা। তাদের মতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা জেতায় পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের গ্রূপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে সেমি ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকার এখনও নেদারল্যান্ডস এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তারা জিতবে এমনটা ধরেই রাখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারলেও গ্রুপশীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালে পৌঁছানোর সম্ভাবনা প্রবল প্রোটিয়াদের। ভারতের এখনো ম্যাচ বাকি রয়েছে জিম্বাবোয়ে এবং বাংলাদেশের সাথে। ওই দুটি ম্যাচই জিতে ভারত সেমিফাইনালে উঠবে এমনটা অনেকেই ধরে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে আজ ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালে সুবিধা হতো দুই-প্রতিবেশী দেশের। কিন্তু সেই ম্যাচে বিরাট কোহলির এহেন ভুল ক্ষুব্ধ করে তুলেছে প্রতিবেশী দেশের সমর্থকদের।