নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, পুলিশের জালে এক বাচ্চা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নৈহাটির শিবদাসপুরে এক তৃণমূল কর্মী খুনের (TMC worker murder) ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সেখানকার পরিস্থিতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আশিফুল ওরফে বাচ্চা ও তার এক শাগরেদ ফারুককে আমডাঙা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত তা জানতে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায় তারা। 

শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির শিবদাসপুরের এক চায়ের দোকানে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বসে ছিলেন তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেন। সেই সময় বাইকে করে দশ-বারো জন দুষ্কৃতী সেখানে আসে। প্রথমে জাকিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে তারা। সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে ওই দুষ্কৃতী দল। 

ঘটনার জেরে রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন জাকির। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ট গুলি করা হয়। সেই গুলি বুকে-পেটে ও হাতে লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর ওই দুষ্কৃতী দল বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করতে করতেই বাইকে করে চম্পট দেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

অন্যদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রবিবার মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামের পরিস্থিতি। ঘটনায় উঠে আসে আশিফুল ওরফে বাচ্চার নাম। সে একজন নাবালক। 

জানা গিয়েছে, আশিফুল ওরফে বাচ্চা শিবদাসপুর এলাকায় হেরোইন-গাঁজার ব্যবসা করত। তাতে নষ্ট হচ্ছিল এলাকার পরিবেশ। আশিফুলকে এই কাজ করতে বাধা দেন জাকির। সেই থেকেই জাকিরের সঙ্গে বিবাদ আশিফুল ওরফে বাচ্চার। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, জাকির বরাবরই প্রতিবাদী প্রকৃতির ছিলেন।

অন্যদিকে, হেরোইন-গাঁজার ব্যবসা-সহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম করে এলাকার ত্রাশ হয়ে উঠেছিল আশিফুল ওরফে বাচ্চা। এদিকে জাকির তার ব্যবসায় শুধু বাধাই দেননি, তাকে একবার পুলিশের হাতেও তুলে দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে সরিয়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর হয়ে পড়ে আশিফুল। জাকিরের উপর গুলি চালানোর ঠিক ১৫ দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পায় আশিফুল। তারপরেই শনিবার দলবল নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে সে।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর