বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে ফের একবার আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে শুরু করে গুজরাটের (Gujrat) সেতু বিপর্যয় নিয়ে বিরোধীদের করা আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দিলীপবাবু।
অতীতেও একাধিক সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। কখনো কখনো আবার নিজের দলের বিরুদ্ধেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। সেই ধারা বজায় রেখে এদিন একাধিক বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুজরাটের সেতু বিপর্যয় নিয়ে শাসক দলকে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। বিশেষত, গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি পদ্মফুল শিবিরের জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয় বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “জল ঘোলা করতে ভালোবাসে অনেকে। তারাই বিরোধিতা করে চলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেমন ব্রিজ ভেঙে পড়ে, আবার কলকাতাতে উড়ালপুল ভেঙে যাওয়ার ঘটনা আমরা দেখেছি। এক্ষেত্রে যান্ত্রিকভাবে গোলযোগ হতেই পারে। প্রশাসনের সতর্ক থাকা উচিত।”
অপরদিকে তৃণমূলের কাটমানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওরা এই ঘটনা প্রসঙ্গে কিছু জানেনা। আসলে নিজেরা কাটমানি নিয়ে চলেছে সারা বছর, সেই কারণে এই প্রসঙ্গটি ওদের প্রথম মাথায় এসেছে।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। নৈহাটি এলাকায় গুলিকাণ্ডের জেরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর দাবি, “বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে গুলি এবং বোমাবাজির ঘটনা বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে একজন কিশোরকে ধরা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। যেভাবে অন্যান্য একাধিক রাজ্য থেকে বাংলায় সন্ত্রাসবাদীরা এসে চলেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের পুলিশ কিছু জানতেই পারছে না। নিয়োগ দুর্নীতিতেও একই হাল। চাকরি পাচ্ছে না কোন যুবক যুবতী, অথচ সরকারের কোন চিন্তা ভাবনা নেই।”
অপরদিকে এদিন তৃণমূল সাংসদদের বিঁধে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “কেন্দ্রে ওদের ২২ জন সাংসদ রয়েছে। ওখানে কি নাটক করতে যায় তারা? গান্ধী মূর্তির সামনে রোদ পোহাতে যায়। এছাড়া কোন কাজ নেই।”