বাংলাহান্ট ডেস্ক : সিবিআই (CBI) দাবি করছে , নিয়োগ দুর্নীতিতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। পদ হারিয়েছেন অনেক আগেই। এবার সোমবার আদালত কক্ষে সেই সুবীরেশকেই দেখা গেল চোখের জল ভাসতে। এসএসসির মামলায় (SSC Scam) সোমবার আদালতে সশরীরের হাজির হন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্তরা। ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা। ভিড়ের আড়ালে দাঁড়িয়ে হয়েই রুমালের কোনে চোখের জল মুছতে দেখা যায় তাঁকে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁরই আমলে যাবতীয় অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে সিবিআই। অন্য দিকে, সুবীরেশের দাবি তিনি কোনও দুর্নীতিতেই জড়িত নন। তাঁর আমলে একটি নিয়োগেও দুর্নীতি হয়নি। পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। যদিও সুবীরেশের এই বক্তব্য ধোপে টেকেনি। তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এত দিন তিনি ছিলেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই। আজই তাঁকে তোলা হয় কোর্টে। আদালতে প্রকাশ্যেই কাঁদতে দেখা যায় প্রাক্তন এসএসসির চেয়ারম্যান।
আদালতে তখন শুনানি তখন প্রায় শেষের দিকে। পিছনের দিকে স্ত্রী ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে বসেছিলেন সুবীরেশ। ঘনঘন চোখ মোছেন তিনি। ক্রন্দনরত সুবীরশকে বোঝাতে দেখা যায় স্ত্রী এবং ছেলেকে। মেয়েও এসে একসময় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন বাবাকে। যদিও তার পরও চোখ মোছা বন্ধ হয়নি সুবীরেশের।
জানা যাচ্ছে, সুবীরেশ এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও ওই সময়েই শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি করে, সুবীরেশকে তাঁর সময়কালে এই নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। পরে সিবিআই এ-ও জানায়, এসএসসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার পরও সুবীরেশের প্রভাব প্রতিপত্তি ভালোই রয়েছে। তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরেও একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ছিলেন। সেই সঙ্গে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ, নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি এবং রাজ্যের উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক পদেও নাম রয়েছে তাঁর।