পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ ফেসবুকে, পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১৯ সাল। কাশ্মীরে ঘটে গিয়েছিল এক ভয়াবহ কাণ্ড। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অনেক জওয়ান। সেই সময় তো বটেই বরং এখনো সেই ঘটনার কথা মনে পড়লে বুক কেঁপে ওঠে দেশবাসীর। মৃত জওয়ানদের জন্য চোখ ভরে ওঠে জলে। কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের কাঁচরাকানাহুল্লির বাসিন্দা এক মাত্র ২৩ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার সেই জওয়ান দের মৃত্যুতে আনন্দ হয়। সেই একটি উচ্ছ্বাস ভরা পোস্ট করে পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে ফেসবুকে। পড়ুয়ার নাম ফৈয়াজ রশিদ।

ফেসবুকে ফৈয়াজের পোস্ট করার পরেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় কোর্টে। চার্জশিটে রাশিদের বিরুদ্ধে ধারা ১৫৩এ যোগ করা হয় ৷ যার অর্থ ধর্মকে হাতিয়ার করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা ৷ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ১২৪এ, ২০১ অর্থাৎ, অপরাধ সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট-সহ বেশ কয়েকটি ধারা যোগ করা হয় চার্জশিটে ৷

২০১৯ সাল থেকে এই মামলার শুনানি চলছিল ৷ এনআইএ এবং ইউপিএ আদালতের বিচারক অভিযুক্ত পড়ুয়াটিকে পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং জরিমানা না দেওয়ায় তাকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।Pulwama Blast 750x430 1

সূত্রের খবর, রাষ্ট্রের তরফে সওয়াল করা আইনজীবী জিএন অরুণ জানিয়েছেন, বিশেষ আদালত ফৈয়াজকে আইপিসির একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। বিচারের সময় তিনি বলেছিলেন , “অভিযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া অর্থাৎ তিনি নিরক্ষর নন। তার কৃত ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী পুলওয়ামা কান্ডে তিনি জওয়ানদের মৃত্যুতে খুশি হয়েছেন। তার এই আচরণ দেশবিরোধী ও অত্যন্ত জঘন্য।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর