মেয়েকে কামড়ানোর প্রতিশোধ নিতে জ্যান্ত কাঁকড়া চিবিয়ে খেয়ে হাসপাতালে বাবা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিশোধ নিতে মানুষ কি ই না করে, এর আগেও শোনা গেছে সাপের কামড়ে প্রতিশোধ নিতে সাপকেই উল্টে কামড়ে দিয়েছে মানুষ। কিন্তু কখনো শুনেছেন কি যে কাঁকড়ার কামড়ানোর প্রতিশোধ নিতে কাঁকড়াকেই উল্টে কামড়ে দিয়েছে কেউ? কি অবাক লাগছে তো কিন্তু ঠিক এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে।

এক ব্যক্তি তার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। সেখানে অসাবধানতাবশত এর একটি কাঁকড়া তার মেয়েকে কামড়ে দেয়। মেয়ে সেই কামরের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। আর মেয়ের এমন দুরবস্থা দেখে কাঁকড়াটির ওপর অত্যন্ত রেগে যান সেই বাবা। এবং মেয়েকে কামড়ানোর প্রতিশোধ নিতে তৎক্ষণা সেই কাঁকড়াকে জ্যান্ত ধরে চিবিয়ে ফেলেন ব্যক্তি। কিন্তু এই প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ঘটে-বিপত্তি। কাঁকড়াটিকে খেয়ে ফেলার এক দুদিন পরে হঠাৎ তার শারীরিক অবনতি ঘটতে শুরু করে ।জ্যান্ত কাকড়া খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে খবর এই ব্যক্তির নাম লু। তার বয়স মাত্র ৩৯ বছর। কাকড়া খাওয়ার দু তিন দিন পর থেকে তার পিছে অসহ্যকর ব্যথা হতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে চিকিৎসক তাকে জিজ্ঞেস করেন যে তিনি এর মধ্যে এমন কিছু খেয়েছেন কিনা যার খেলে এলার্জি হতে পারে। কাঁকড়ার কথা ততদিনে রীতিমতো ভুলেই বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তার স্ত্রীর মনে ছিল সেই কথা এবং তার স্ত্রীই চিকিৎসককে সেই কাঁকড়া খাওয়ার ঘটনাটি জানান।jpg 20221101 182442 0000jpg 20221101 182442 0000

এমন করো আজগুবি অথচ ভয়ংকর ঘটনা শুনে চিকিৎসকও প্রথমে একটু ঘাবড়ে যান। কিন্তু তারপরেই তিনি বেশ কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট লিখে দেন তাকে। এবং মেডিকেল টেস্টের ফলাফল বেরোলে চিকিৎসক জানান, একটি জ্যান্ত কাকড়া খেয়ে নেওয়ার ফলে তার শরীরে আক্রমণ করেছে একটি নয় গোটা তিন রকমের পরজীবী। যারা যারা ইতিমধ্যেই ভেতরে ভেতরে তার শরীরে নানান রকম কুপ্রভাব বিস্তার করেছে। সেই কুপ্রভাব থেকে বাঁচাতে তাকে যদি দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করা হতো তাহলে প্রাণ সংশয় হয়ে যেতে পারতো ওই ব্যক্তির। যদিও ওই ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হতে খুব বেশি দেরি না হওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর