বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুদ্ধবিমান তেজস (Tejas) সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি। সম্পূর্ণ স্বদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানটি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে সমগ্ৰ বিশ্বজুড়ে। এক আসনের একটি জেট ইঞ্জিন সমন্বিত এই হালকা যুদ্ধ বিমানটি সামরিক ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কিন্তু বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এমন একটি তেজসের প্রসঙ্গে জানাতে চলেছি, যেটি আকাশ নয় বরং রাস্তায় ঝড় তুলেছে।
হ্যাঁ, প্রথমে শুনে চমকে গেলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা এবার সামনে এসেছে। মূলত, মিরাটের দুই ভাই মিলে এবার একটি ই-বাইক তৈরি করেছেন। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে “তেজস”। ইতিমধ্যেই দুই ভাইয়ের এহেন কৃতিত্ব রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে সর্বত্র। একদম প্রথমে এই ই-বাইককে দেখলে মনে হবে এটি যেন শিশুদের একটি সাইকেল। ছোট চাকা, সিটের পরিবর্তে পাইপের ব্যবহার, সাইকেলের মত হ্যান্ডেল এইসব কিছু দিয়েই তৈরি হয়েছে “তেজস”।
জানা গিয়েছে, মিরাটের আশীষ এবং অক্ষয় এই দুই ভাই ওই ই-বাইকে আয়না, শকার এবং চার্জিং ব্যাটারির সুবিধাও রেখেছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, এই ই-বাইকটি একবার চার্জ দিলেই ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এমতাবস্থায়, সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারার এই ই-বাইকটি দেখে সকলেই অবাক হয়ে যান। আশীষ জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর এই আবিষ্কারের নাম দিয়েছেন “তেজস”। অনেকে আবার এটিকে রকেট ও মিসাইল নামেও অভিহিত করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বাইকটির গতি হল ঘন্টায় ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। পাশাপাশি, এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা।
“বুলেট না পেয়ে নিজেরাই বাইক বানাই”: এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী অক্ষয় এবং ২১ বছর বয়সী আশীষ এই দুই ভাই তাঁদের বাবার কাছে একটি বুলেট (বাইক) চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাবা রাজি হননি। কিছুদিন পর এই দুই ভাই নিজেরাই ব্যাটারি চালিত বাইক তৈরি করে ফেলেন। জানা গিয়েছে, অক্ষয় পলিটেকনিকের ছাত্র এবং আশীষ এমএ করছেন। আশীষ জানিয়েছেন যে, তাঁর ভাই অক্ষয় সমস্ত প্রযুক্তিগত কাজ দেখেছে।
কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে ই-বাইকটির: দুই ভাইয়ের তৈরি “তেজস”-এ ব্যাটারি মাত্র ৭ ঘন্টার মধ্যে চার্জ হয়ে যায়। ৭ ঘন্টা চার্জ করার পরে, এই বাইকটি ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এই বাইকটিতে ব্যাক গিয়ারও রয়েছে। এদিকে, বাইকটিতে পিভিসি পাইপ বসানো হয়েছে এবং এই বাইকটি ৩ জনের ওজন নিতে পারে। শুধু তাই নয়, বাইকটিতে ২৪ amps এবং ৬০ kW ভোল্টেজের ব্যাটারি ইনস্টল করা হয়েছে।
পাশাপাশি, গতি বাড়ানোর জন্য বাইকে একটি বোতামও দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আশীষ জানান, “চাহিদা বাড়লে আমরা এই মোটরসাইকেলটিকে আরও উন্নত করতে পারব। এতে ব্যবহৃত উপাদান ও টায়ার আরও ভালো করা যেতে পারে।” সর্বোপরি, এই সংক্রান্ত ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।