বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতার (Kolkata) বুকে পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। পুলিস হাতিয়ে নিয়েছে টাকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য শহর জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। একবালপুর এলাকায় এক যুবকের কাছ থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিসের দুই কনস্টেবল, এক সিভিক পুলিশ সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ২ কনস্টেবল একবালপুর থানায় কর্মরত বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম মহম্মদ আরবাজ। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থা চাকরি করেন। সেই সূত্রেই বুধবার ৩৩ লক্ষ টাকা তিনি ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধুও। তখনই চারজন পুলিস পরিচয় দিয়ে তাদের পথ আটকায়। এরপরে তারা যুবকের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পায়। সেখান থেকে দুই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় একটি হোটেলে। পরে দুজনকে মারধর করে পুলিস। তাঁদের ব্যাগও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। শেষে দুজনকে একবালপুর থানাতে নিয়ে যায় পুলিস। পরে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন ওই সংস্থার এক কর্তা। তিনি থানাতে জানান, সংস্থার টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তখনই ওই দুই পুলিস কনস্টেবলের আসল চেহারা সকলের সামনে আসে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ২ কনস্টেবলের নাম হল প্রভাত বেরা এবং স্বপন কুমার বিশ্বাস। সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম টোটন। তাদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে একবালপুর থানার পুলিস। ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে দুজনের নাম পুলিস জানতে পেরেছে। তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল গত আগস্ট মাসে। মধ্য কলকাতার তালতলা এলাকায় ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। সে সময় তল্লাশির অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা ছিনিয়ে নেয় দু’জন কনস্টেবল। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।