বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাত্রীদের সুবিধাজনক যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways) দেশের ৩৫টি স্টেশনে উন্নয়নের কাজ শুরু করছে। এর মধ্যে অনেক স্টেশনের কাজ শুরু হয়েছে এবং এর মধ্যে অনেক স্টেশনে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দরপত্র চূড়ান্ত করে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। সমস্ত স্টেশন রেলমন্ত্রক নিজেই তৈরি করছে। তাই সব স্টেশনে সময়মতো কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমাদের দেশের সব স্টেশনই গড়ে তোলা হয়েছে উন্নয়নশীল এলাকায়। এখন এলাকাগুলো পুরোপুরি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে স্টেশনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই স্টেশনগুলির মধ্যে অনেকগুলিতে প্রবেশ পথে সমস্যা আবার অনেকগুলি বাসস্ট্যান্ড বা পরিবহনের অন্যান্য মাধ্যম থেকে অনেক দূরে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলওয়ে তাই আধুনিক স্টেশন তৈরির কাজে নেমেছে।
অযোধ্যা, বিজবাসন, সফদারজং, গোমতীনগর, তিরুপতি, গয়া, উধনা, সোমনাথ, এর্নাকুলাম, পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি, মুজাফফরপুর, লখনউ (চারবাগ), ডাকানিয়া তালাভ, কোটা, জম্মু তাওয়ি, জলন্ধর ক্যান্ট, নেল্টিলোর, জয়পুর, ফরিদাবাদ, কোবরম , উদয়পুর শহর, জয়সলমের, রাঁচি, বিশাখাপত্তনম, পুদুচেরি, কাটপাডি, রামেশ্বরম, মাদুরাই, সুরাট, যোধপুর, চেন্নাই এগমোর, নিউ ভুজ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল স্টেশনগুলোর উন্নয়ন কীভাবে করা হবে ?
- স্টেশনগুলির উভয় দিক থেকে প্রবেশ পথ থাকবে, অর্থাৎ, স্টেশনটি শহরের উভয় অংশকে সংযুক্ত করবে।
- ফুডকোর্ট ছাড়াও ওয়েটিং লাউঞ্জ, শিশুদের খেলার জায়গা, শহরের স্থানীয় পণ্যের প্রচারের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হবে।
- শহরের মাঝখানে অবস্থিত এসব স্টেশনে নাগরিকদের জন্য সিটি সেন্টারের মতো জায়গা তৈরি করা হবে। মহাপরিকল্পনায় যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- সব ধরনের পরিবহন স্টেশনের সাথে সংযুক্ত থাকবে। অটো, ট্যাক্সি এবং বাস স্ট্যান্ড পরস্পর সংযুক্ত হবে।
- সম্পূর্ণ ভবনটি গ্রিন বিল্ডিং প্রযুক্তিতে নির্মিত হবে। প্রতিবন্ধীদের সুবিধার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হবে।