বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক দুর্নীতির ইস্যুতে যখন তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটাক্ষ করে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party), ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের ঘর ভাঙতে উদ্যত হলো ঘাসফুল শিবির। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড় দিয়েই ভাঙন যাত্রা শুরু করলো তৃণমূল। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি নেতার অন্যতম নির্বাচনী সেনাপতি জয়দেব দাস। বিজেপি দলকে ‘মিথ্যাচার এবং ভণ্ডামির দল’ বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) উপস্থিতিতে শাসক দলে যোগ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভের আশা দেখিয়েও পরবর্তীতে মাত্র ৭৭-এ থামে বিজেপির রথ। গত কয়েক মাসে দলের ভেতর গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে একের পর এক নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে তাদের আর এর মাঝেই এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে ৩৩ জন নেতা এবং ৫০০ জনের অধিক দলীয় কর্মীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
একইসঙ্গে জয়দেব দাসের দাবি, “এবার থেকে বেশ কয়েক দফায় আদি বিজেপি কর্মীরা শাসক দলে যোগদান করবেন।” সকল বিজেপি কর্মীদের এদিন ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এক্ষেত্রে বিজেপি কর্মীদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের যোদ্ধা খোকন শিটদের সঙ্গে ‘দলত্যাগী’ কর্মীদের হাতে হাত পর্যন্ত মিলিয়ে দেন কুণালবাবু।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নন্দীগ্রামে কুণাল ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। এরপর থেকেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা কর্মীদের যোগদান প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী কেবলমাত্র মিথ্যা কথা বলে যায়। ও ভেবেছিল, বিজেপি কর্মীদের দলে আটকে রাখবে। তবে তা বেশিদিন সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে আরও অনেক মানুষ ওদের দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। নন্দীগ্রামকে শুভেন্দু মুক্ত করবো। নন্দীগ্রাম হলো শহীদদের পবিত্র রক্তের জায়গা, সেখানে ভণ্ডদের কোন জায়গা হবে না।”
সম্প্রতি, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বটকৃষ্ণ দাস। তবে কাকা মারা যাওয়ায় এদিন অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেননি তিনি। এক্ষেত্রে কুণাল ঘোষ, সৌমেন মহাপাত্র এবং অন্যান্য একাধিক নেতাদের উপস্থিতিতে দলত্যাগী জয়দেববাবু দাবি করেন, “নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে বিজেপিতে বড়সড় ধস নামতে চলেছে। ধাপে ধাপে অনেক নেতা কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন।”