দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ কেটে আসছেন লটারি! অবশেষে কোটি টাকা জিতলেন হুগলির মাংস বিক্রেতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাগ্যের ফেরে কে যে কখন কোটিপতি হয়ে যাবেন তা কেউই বলতে পারে না। এমনিতেই, বর্তমান সময়ে লটারির (Lottery) ওপর ভর করে অনেকেই কোটি টাকা জিতছেন। প্রায়শই এই ধরণের খবর উঠে আসে খবরের শিরোনামে। পাশাপাশি, এই ঘটনা এক লহমায় বদলে দেয় বিজেতাদের জীবনও। সেই রেশ বজায় রেখেই ফের একবার এই ঘটনা সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, এবার লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার (Pandua) এক মাংস বিক্রেতা। আব্দুল কাশেম নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি হল পাণ্ডুয়ার রামেশ্বরপুরে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন আব্দুল। এমনকি, একটানা ১০ বছর যাবৎ ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।

এমতাবস্থায়, গত বৃহস্পতিবার এক স্থানীয় লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকার লটারির টিকিট কেটেছিলেন আব্দুল। আর ওই টিকিটই ভাগ্য ঘুরিয়ে দেয় তাঁর। আব্দুল জানতে পারেন যে, সরাসরি কোটি টাকা জিতে গিয়েছেন তিনি। যা শুনে আব্দুল রীতিমতো অবাক হয়ে যান।

জানিয়ে রাখি যে, এর আগেও লটারির টিকিটে অল্প কিছু টাকা জিতেছিলেন আব্দুল। যদিও, এই বিপুল অর্থলাভের কাছে সেগুলি কিছুই ছিল না। এদিকে, রাতারাতি কোটিপতি হয়ে তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছেন সর্বত্র। এমনকি, খবরের শিরোনামেও উঠে এসেছেন তিনি।

1667572524 lottery

এই প্রসঙ্গে লটারি জেতার আনন্দে আব্দুল হাসি মুখে জানান যে, ‘‘এই টাকার কিছু অংশ এবার ব্যবসার কাজে লাগাব। পাশাপাশি, নতুন কোনো ব্যবসাও শুরু করব। এছাড়াও, নিজের খুশি মত কিছু টাকা দান করব। আর বাকি যা টাকা থাকবে তা ছেলেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেব।’’

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর