২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় বিজেপি, গুজরাটে কতজন চাইছে পরিবর্তন? সমীক্ষায় অবাক করা তথ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গুজরাত ( Gujarat)। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যেখানকার মানুষ। এই রাজ্য থেকেই জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন তিনি। গুজরাত বিজেপির আঁতুড় ঘর। সেখানে বিরোধীরা কার্যত দাঁত ফোটাতে পারে না। কিন্তু এবার বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছে। আর কদিন পরেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে বেশ কিছু ঘটনায় ভাঁজ পড়তে পারে বিজেপির কপালে? এবার গুজরাতের লড়াইয়ে নেমেছে আপও। তাতে কাদের সমস্যা হবে? বিজেপি না কি কংগ্রেস?

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪৩ শতাংশ মানুষ চাইছেন পরিবর্তন আসুক সরকারে। যা বিজেপির জন্য যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। অপরদিকে প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষ সরকারে আবার পদ্ম ফোটাতেই চাইছেন। ২৩ শতাংশ মানুষ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি। তাঁরা না সরকারের উপর ক্ষুব্ধ, না পরিবর্তন চান সরকারের। বলাই বাহুল্য সমস্ত দলই কোমর বেঁধে নেমেছে ভোট প্রচারে।

এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বিষয় হতে চলেছে বেকারত্ব। অন্তত ৩৩ শতাংশ বাসিন্দা এমনটাই মনে করছেন। পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়টিও উঠে এসেছে। ১৮ শতাংশ মনে করছেন, বিদ্যুৎ, জল এবং রাস্তার উপরে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ১৫ শতাংশ বাসিন্দা মনে করছেন কৃষকদের সমস্যা অন্যতম বড় ইস্যু।

জাতীয় ইস্যু এবং নিরাপত্তা বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। একটা বড় অংশের বাসিন্দা এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। যা ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯ শতাংশ লোক মনে করছেন ধর্মীয় বিভাজন নির্ধারণ করবে কারা সরকার গঠন করবে।

১৯৯৫ সালের পর ২০১৭ সালে মোদী-হীন গুজরাটে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হয়েছিল বিজেপির। ১৮২ মোট আসনের মধ্যে পদ্ম ফুটেছিল ৯৯টি আসনে। কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭ আসন। তবে, ২০১২-র তুলনায় কম আসন পেলেও গতবারের বিধানসভাতে শতাংশের বিচারে ভোটপ্রাপ্তিতে ভাল ফল করেছিল গেরুয়া দলটি। তাদের দখলে ছিল ৪৯.০৫ শতাংশ ভোট। হাত শিবির পেয়েছিল ৪১.৪৪ শতাংশ ভোট।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর