বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূল নেত্রী তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নির্মীয়মান বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ফলে আহত ২ জন মিস্ত্রি। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। বিস্ফোরণের পর ওই বাড়িতে পুলিশ আরও তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। নির্মীয়মান এই বাড়িতে কিভাবে এতগুলো বোমা আসল তা নিয়ে এখন প্রশ্ন সকলের মনে।
রবিবার সকালে হঠাৎই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাঁদপুর এলাকা। স্থানীয় সূত্রের খবর, বেড়াচাঁপা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা শহি সুলতানার নতুন বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। রবিবার সকালেওই বাড়িতে কাজ করছিলেন মিস্ত্রিরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই বাড়িতে রবিবার সকালে কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রীরা। হঠাৎই তীব্র শব্দ শুনতে পান তারা। এরপর স্থানীয়তা দেখতে পান গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা তথা তৃণমূল নেত্রীর বাড়ি থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। তারা দেখেন জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন দুজন মিস্ত্রি। থানায় খবর দিলে তড়িঘড়ি দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে দুইজন মিস্ত্রিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশের অনুমান, শহি সুলতানার নির্মীয়মান বাড়িতে রাখা ছিল চারটি তাজা বোমা। রবিবার সকালে নিয়মমতো মিস্ত্রিরা ওই বাড়িতে কাজ করতে পৌঁছন। সেই সময় হয়তো সিঁড়ির নিচে কেউ বা কারা কোদাল দিয়ে পরিষ্কার করছিলেন। কোদালের খোঁচায় একটি বোম বিস্ফোরিত হয়। বরাত জোড়ে ওই দুইজন মিস্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই মিস্ত্রির মুখ, হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আব্দুল হাকিম মোল্লা জানিয়েছেন, “আমাদের নতুন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। কেউ বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই বোমা গুলি রেখে গেছে।” দেগঙ্গা থানার পুলিশ বাকি বোমাগুলিকে নষ্ট করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।