বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময় থেকে বদলেছে সিনেমা দেখার ধরণ। দর্শকদের পছন্দ অপছন্দ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি (South Industry) ক্রমশ মাথায় তুলে দাঁড়িয়েছে। আর এখন তারাই প্রতিনিধিত্ব করছে ভারতীয় সিনেমার। অন্যদিকে যে বলিউড এক সময় সর্বেসর্বা ছিল সেই ইন্ডাস্ট্রিই এখন ধুঁকছে, ক্রমশ ঝুঁকছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দিকে। সুযোগ বুঝে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিকে কটাক্ষ করলেন ‘কেজিএফ’ খ্যাত যশ (Yash)।
সদ্য মুম্বই এসেছেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে বলিউড এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির ব্যাপারে মতামত রাখেন যশ। কোনো রকম রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, দশ বছর আগেও উত্তর ভারত বা হিন্দি বলয়ে দক্ষিণী ছবির ভাবমূর্তি ছিল অন্য রকম। দক্ষিণী ছবিকে তখন এক রকম অবহেলার ভঙ্গিতেই দেখা হত।
যশ বলেন, তখন সাউথ ফিল্মের হিন্দি ডাবিং বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু তা অনেকটাই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিল দর্শকদের একটা বড় অংশের কাছে। ছবির যুক্তি, অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং নিয়ে হাসাহাসি হত। ধীরে ধীরে ওই ধরণটাকেই ভালবেসে ফেলে উত্তরের দর্শকরা। তবে আগে দক্ষিণী ছবিগুলিকে বলিউডে ভাল ভাবে দেখানো হত না বলেই অভিযোগ করেন যশ।
তাঁর দাবি, আগে ডাবিং এর কোয়ালিটি ভাল ছিল না। হাস্যকর সব নাম নিয়ে হিন্দি ডাবিং করা হত ছবিগুলির। তবে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকে যিনি সর্বভারতীয় স্তরে তুলে ধরেছেন, যশের মতে তিনি এস এস রাজামৌলি। অভিনেতা বলেন, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকে প্রয়োজনীয় ধাক্কাটা দিয়েছিল রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী’। তারপর অনুসরণ করেছে আর আর আর, কেজিএফ এর মতো ছবিগুলি।
যশ আরো বলেন, বেশ অনেক বছর ধরেই দক্ষিণী ছবিগুলির হিন্দি ডাবিং সম্প্রচারিত হচ্ছে টিভি চ্যানেলগুলিতে। কিন্তু এখনকার মতো উন্মাদনা আগে দেখা যায়নি। এখন দক্ষিণী ছবির হিন্দি ডাবিং করানোর জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় টিভি চ্যানেলগুলিতে।