বাংলাহান্ট ডেস্ক : শনিবার বীরভূমের এক যুবককে পিটিয়ে খুন করলো তাঁর কলকাতা অফিসের সহকর্মীরা। মাত্র ৪৫০ টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অফিসে মারধরের পর তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর বাকি তিন সহকর্মী যথাক্রমে, সুমন মন্ডল, দেবাশিস অধিকারী এবং সোমনাথ চক্রবর্তীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম অমিত চট্টোপাধ্যায়। বীরভূমের সিউড়ির চাকদহ অঞ্চলে তাঁর বাড়ি। কর্মসূত্রে তিনি দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক অঞ্চলের মালঞ্চের কাছে এক অর্থ সংস্থায় চাকরি করতেন। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, শনিবার অফিসে তাঁরা চারজন উপস্থিত ছিলেন। সুমন মন্ডল, দেবাশিস অধিকারী, সোমনাথ চক্রবর্তী এবং অমিত চট্টোপাধ্যায়। হঠাৎই দেবাশিস অধিকারী তাঁর ৪৫০ টাকা খুঁজে না পেয়ে দোষারোপ করতে শুরু করেন।
এরপর জানা যায়, সেই টাকা নাকি তাঁর ব্যাগে ছিল, এখন সেটা নেই। বিনা কারণেই তিনি অমিতকে দোষারোপ করতে শুরু করলে সুমন মন্ডল আর সোমনাথ চক্রবর্তীও তাঁর সঙ্গ দিতে শুরু করেন। কিন্তু অমিত যখন বলেন যে তিনি টাকা নেননি তাঁরা মারতে শুরু করেন। শুধু লাথি ঘুষিই নয় তাঁকে ভোঁতা কিছু দিয়েও আঘাত করেন তাঁর সহকর্মীরা। আহত অমিত তখন জ্ঞান হারান। এর পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরাধীরা পুলিশকে জানান এর আগেও নাকি তাঁদের অফিস থেকে টাকা চুরি হয়েছে। আর তাঁরা অমিতকেই সন্দেহ করেছেন যে তিনিই টাকা সরিয়েছেন। অমিতের মৃত্যুর খবর পেয়েই তাঁর পরিবারের লোকজন কলকাতায় আসেন এবং তাঁরা এই তিনজনের বিরুদ্ধে রিজেন্ট থানায় ডাইরি করেন এবং এরপরেই এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।