বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায়ের লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছিল গত সপ্তাহে। কোন ১৬ টি দল নক আউট পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জন করেছিল সেটা গত বুধবারই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আজ ছিল শেষ ১৬ পর্যায়ে কোন দল কার মুখোমুখি হবে সেটি নির্ধারণ করার দিন। নিয়ম মতই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আটটি গ্রুপের শীর্ষস্থানে থাকা দলগুলি একে অপরের মুখোমুখি হবে না, তারা মুখোমুখি হবে অন্য কোনও গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে গ্রুপ পর্ব শেষ করা দলগুলির মধ্যে যে কোনও একটির। নিঃসঙ্গে একই দেশের দুটি ক্লাবও শেষ ১৬ পর্যায়ে একে অপরের মুখোমুখি হতে পারবে না।
সেই নিয়ম মেনেই আজকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ হলো পর্বের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিন্যাস বেছে নেওয়া হলো এবং তারপর বেশ কয়েকটি মুখোরোচক লড়াই উঠে এসছছে সকলের সামনে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ শেষ ১৬ পর্যায়ের মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের রানার্সআপ হওয়ার লিভারপুল এর বিরুদ্ধে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইংলিশ প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এইবার তাদের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে জুর্গেন ক্লপের দল।
সেই সঙ্গে গ্রুপ পর্যায়ে দেখতে পাওয়া যাবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জমজমাট ম্যাচ। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে সমৃদ্ধ পিএসজির মুখোমুখি হবে জার্মান জায়ান্টস বায়ার্ন মিউনিখ। নিঃসন্দেহে বলা যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ পর্যায়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ হতে চলেছে এটি। দুই দলের শেষ সাক্ষাতে বাজি মেরেছিল প্যারিসের দলটি। নেইমার জুনিয়র অসাধারণ ফুটবল খেলেছিলেন সেবার। এবার তিনি সঙ্গে পাবেন লিওনেল মেসিকেও। মিউনিখের কাজটা একেবারেই সহজ হবে না। এই দুটি ম্যাচ বাদে বাকি ছয়টি ম্যাচের বিবরণ নিচের ছবিতে তুলে ধরা হলো..
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬ পর্বের বিন্যাসের পাশাপাশি আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায়ে তৃতীয় স্থান থেকে ইউরোপা লিগে নেমে আসা দলগুলিরও ভাগ্য নির্ধারণের সময় ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে নেমে আসা ওই আটটি দল ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর মুখোমুখি হবে। সেই বিন্যাসও ছিল আজকেই।
সেই বিন্যাসের পর দেখা যায় ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই ফাইনালিস্ট এফসি বার্সেলোনা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে এই নক-আউট পর্যায়ে। বর্তমান প্রজন্মে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ গোল করা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যদি জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোর পরও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই থাকেন তাহলে তাকে আরো একবার দেখা যাবে ন্যু ক্যাম্পের মাটিতে ফুটবল খেলতে। এফসি বার্সেলোনার ঘরের মাঠে মোট ১৪ গোল রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। ইউরোপা লিগে বার্সার বিরুদ্ধে ইউনাইটেডের খারাপ রেকর্ডের হারায় তিনি উন্নতি ঘটাতে পারেন কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারি মাস অবধি। আপাতত এই নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় পাচ্ছেন না ফুটবলপ্রেমীরা কারণ সামনেই রয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টের শেষে আবার এই প্রতিযোগিতাগুলি নিয়ে উত্তেজনার আঁচ চড়তে শুরু করবে।