বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে পরপর দুটি ম্যাচ হারার পর অনেক ক্রিকেটপ্রেমী আশা করতে পারেননি যে পাকিস্তান দল সেমিফাইনাল অবধি পৌছবে। কিন্তু পরপর নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন বাবর আজমরা। ঠিক সময় ফর্মে ফিরেছিলেন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তানের টপ অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেও মিডিল অর্ডারে শান মাসুদ, মহম্মদ হ্যারিসরা প্রয়োজনমতো রান করে পাকিস্তানকে এই যাত্রা উতরে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের এই উত্থানের সঙ্গে অনেকে মিল পাচ্ছেন ১৯৯২ ওয়ান ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের। সেবারও প্রায় জ্বলে ছাই হয়ে যাওয়া অগ্নিকুণ্ডু থেকে ফিনিক্সের মত উত্থান হয়েছিল ইমরান খানদের। সেই সঙ্গে ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছিল তারা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল পাকিস্তান। এবারও ভাগ্যের স্বাদ পেয়েছেন বাবর আজমরা। নেদারল্যান্ডস যে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারাতে পারবে, এটা কজন ভাবতে পেরেছিল! সেইসঙ্গে বৃষ্টির জন্য জয়ের অত্যন্ত কাছাকাছি পৌঁছে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভাগাভাগি করতে বাধ্য হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা যা পরবর্তীতে সুবিধা করে দিল পাকিস্তানকে।
তবে অনেকে অবশ্য এই বিশ্বকাপের সাথে মিল পাচ্ছেন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। সেবার ভারত বনাম স্কটল্যান্ড ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিজেদের অভিযান শুরু করেছেন রোহিত শর্মারা।সেবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি। এবারও ঠিক তেমনটাই হয়েছে।
মিল অবশ্যই এখানেই শেষ হচ্ছে না। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়াও সেমিফাইনালে পৌঁছতে অক্ষম। ২০০৭ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল পাকিস্তান। ভারতকে সেমিতে মুখোমুখি হতে হয়েছিল তৎকালীন ওডিআই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। এবারও সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ বর্তমান ওডিআই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তবে এইসব মিল শুধু শুনতেই ভালো লাগে। আসল লড়াইটা হবে খেলার মাঠে। সেটাও খুব ভালো করেই জানেন রোহিত শর্মারা। তাই মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রথমে ইংল্যান্ড এবং তারপরে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড বা পাকিস্তানের মধ্যে যে পৌঁছাবে তাদেরকে হারিয়ে কাপ তোলার কথা ভাবছে মেন ইন ব্লুজ।