‘বাপ-ব্যাটা মিলে লুটেপুটে খাওয়ার ব্যবসা ফেঁদেছিলেন’, মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বাপ-ব্যাটা মিলে লুটেপুটে খাওয়ার ব্যবসা ফেঁদেছিল’, বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ইস্যুতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বসলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। এক্ষেত্রে একটি সাক্ষাৎকারে এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। সিবিআই এবং ইডির তদন্ত মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহাদের মত একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকরা জেলে। সম্প্রতি এই মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে তাঁর নামে একাধিক চাঞ্চল্য করা অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে।

এই মামলায় নাম জড়ায় মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর। এক্ষেত্রে সৌভিকের একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২.৬৪ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি ইডির আর এবার মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলের অভিযোগ ঘিরে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এদিন একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তাপসবাবু বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে বুঝেছি, বাপ আর ব্যাটা মিলে লুটেপুটে খাওয়ার ব্যবসা ফেঁদেছিলেন।”

তিনি আরো বলেন, “রাজ্যে যে সকল কলেজগুলো রয়েছে, তার পরিকাঠামো দিক থেকে উন্নয়ন করার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমে কিছুই জানতাম না। তবে পরে জানতে পারি, ওই সংস্থাটি মানিক পুত্রের। এর মাধ্যমে বহু পরিমাণ টাকা ঢুকতো সংস্থাটির কাছে, অথচ অনেক কলেজেই কোন রকম কাজ করা হতো নাম এমনকি পর্ষদের অফিসে একটি তলায় ওই এজেন্সির জন্য একটি অফিসের বন্দোবস্ত করে দেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখান থেকেও অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হতো।” তাপসের এহেন বক্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ফেরার পথে তাপসবাবু জানান, “সব মিলিয়ে ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রের সংখ্যার হিসেব সঠিকভাবে মেলানো যায়নি। কাল এসে সকল হিসেব মিলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছি।”

Untitled design 2022 09 23T162934.043

তবে এরপরের দিনই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে আচমকাই অন্য কথা বলতে শোনা গেল তাপস মণ্ডলকে। এদিন তিনি বলেন, “যা হিসেব দেওয়ার, কাল দেওয়া হয়েছে। যে টাকার কথা উঠছে, তা সরাসরি পর্ষদে যেত। আমার চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যেক ছাত্র বাবদ ৫০০ টাকা করে নেওয়া হতো। তবে এক্ষেত্রে ওই টাকা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গিয়েছে নাকি অন্য কেউ নিয়েছে, সেটা বলতে পারবো না।”

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর