বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, না হলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে থাকা হলো ওর যোগ্য জায়গা। বাইরে থাকার কোন রকম অধিকার নেই’, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) বিরুদ্ধে এদিন ঠিক এভাবেই কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যেভাবে নিজের মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরি পেতে সাহায্য করেছিলেন, তাতে তাঁর এখনই গ্রেফতার হওয়া উচিত বলে দাবি দিলীপের।
সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি, প্রাথমিক টেট, গ্রুপ ডি এবং অন্যান্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরগরম বাংলা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা জেল হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসে চলেছে। এর মাঝেই এদিন পরেশ অধিকারী প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পরেশ অধিকারী যখন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিল, তখন মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছে। অনেকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এরকম ভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষকে জেলে রাখা উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “পরেশ অধিকারী যে দুর্নীতিতে যুক্ত, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওর দলের সহকর্মী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের মতো ওকেও গ্রেফতার করা উচিত তদন্তকারী অফিসারদের।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। এক্ষেত্রে অপর এক চাকরি প্রার্থী ববিতা অধিকারী এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করলে সম্পূর্ণ বিষয়টি আসে প্রকাশ্যে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন এবং সেই স্থানে ববিতা সরকারকে নিয়োগ পর্যন্ত করেন তিনি।
এক্ষেত্রে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর হাত ছিল বলেই অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে সিবিআই জেরার পাশাপাশি এই সপ্তাহে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলবের মুখোমুখি হতে হয় পরেশকে। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়ার পাশাপাশি দিলীপবাবুর দাবি, “দুর্নীতি কাণ্ডে আরো অনেকের নাম প্রকাশ্যে আসবে। প্রক্রিয়া চলছে, অনেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তলবের জন্য ডাক পাবেন।”