শখ করে ২০০ টাকায় কিনেছিলেন দুটি খরগোশ, আজ তা বিক্রি করেই ঘরে বসে কামাছেন লাখ লাখ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিহারের কাটিহার জেলার হাসনগঞ্জের বাসিন্দা সীতারাম কেওয়াট তাঁর শখকেই উপার্জনের মাধ্যম বানিয়ে ফেললেন। কিন্তু, কিভাবে তিনি নেশাকে পেশায় পরিবর্তন করলেন? একবার তিনি বাজার থেকে দুটো খরগোশ কিনে আনেন এবং ধীরে ধীরে তারা বংশ বিস্তার করতে থাকে।

প্রথমে তাঁর আশেপাশের গ্রামের লোকজন ঘনশ্যাম বলে একজনের থেকে খরগোশ কিনতো। কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রামের লোকজন সীতারামের কাছে আসতে শুরু করেন। এমনকী বাইরে থেকেও তাঁর কাছে লোক আসতে থাকে। এইভাবে তিনি প্রায় ৫ ডজন খরগোশ বিক্রি করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। খরগোশ বিক্রির কথা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় নাম ডাক বাড়তে থাকে সীতারামের।

জানা গিয়েছে, অতি সহজেই মানুষজন পাঁচ থেকে পাঁচশ টাকায় বিক্রি হওয়া খরগোশ কিনতে আসেন। শুধু আশেপাশের গ্রাম নয় শহর থেকেও ক্রেতারা তাঁর কাছে খরগোশ কিনতে আসেন। সীতারাম বলেন এমনি বাজার থেকে তিনি ২০০ টাকা দিয়ে এক জোড়া খরগোশ কিনে আনেন আর আজ তিনি ৫০০ টাকা জোড়ায় খরগোশ বিক্রি করেন। তিনি বলেন খরগোশের ব্যবসা একটি আয় যুক্ত ব্যবসা, যা কম খরচে বেশী আয় দেয়।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে যখন খরগোশ দুটি বাচ্চা দিতো তখন কোনো আত্মীয় বা প্রতিবেশী বাড়িতে এলে তাদের দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতো আর চাইতো তাদের আরও বাচ্চা হোক। শুরুতে তিনি ভালোবেসে খরগোশ বিতরণ করলেও পরে কিছু লোক এর জন্য টাকা দিতে শুরু করেন। টাকা আসতে শুরু করলে তিনি এটাকেই তাঁর ব্যবসা হিসেবে শুরু করে দেন।

Sitaram

যাঁরা খরগোশ পালনে আগ্রহ দেখান, সীতারাম তাঁদের খরগোশ পালনের পুরো প্রক্রিয়াও জানান। সীতারামের এই শখের ব্যবসা দেখে এখন হাসনগঞ্জ গ্রামের অনেকেই খরগোশ পালনে যুক্ত হতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, কার্যত শূন্য থেকে শুরু করে রীতিমতো বিপুল অর্থের মালিক হয়ে গিয়েছেন সীতারাম।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর