বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ধুন্ধুমার কলকাতা। হাজরা মোড়ে অরুণিমা পাল নামে এক টেট আন্দোলনকারীর (TET Agitation) হাতে কামড় বসানোর অভিযোগ ওঠে এক পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এর পর আবার গতকাল রাতে সেই অরুণিমার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে বসল কলকাতা পুলিস। প্রসঙ্গত, বুধবার নিয়োগের দাবিতে ক্যামাক স্ট্রিটে পৌঁছে যান আন্দোলনকারীরা। স্মারকলিপি জমা দিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। সেই সময়ই কলকাতা পুলিসের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এরই মধ্যে এক মহিলা পুলিসকর্মী অরুণিমা পালের হাতে কামড় বসান। পুরো ঘটনার ভিডিও ও ছবি ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। তবে সেই পুলিসকর্মী কামড় বসানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত পুলিসকর্মীর দাবি, তিনি কামড়াননি, উল্টে তাঁর হাতেই নাকি কামড় বসিয়ে দেন অরুণিমা পাল।
চিকিত্সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়। সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য বারবার পুলিসকে অনুরোধ করেন তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিস। এর পরের অভিযোগ আরও মারাত্মক। একজন চাকরিপ্রার্থী জানান, ‘একজন পুলিস আধিকারিক বলেন ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব।’ পরে যদিও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার।
এদিকে গতকাল রাতে জানা যায় অরুণিমা পালকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁর পাশাপাশি আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটের ঘটনায়। হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অরুণিমা সহ বাকি ৩০ জনের বিরুদ্ধে।
এদিকে গতকাল বিধাননগরের সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনের সামনেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখানেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান রুখতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিস মোতায়েন করা হয়। অপরদিকে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের সামনেও হুলুস্থুলুস বেঁধে যায়। এক্সাইড মোড়ে অনেককে আটক করা হয়। তাঁদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় একজনের মাথাও ফেটে যায় বলে জানা যাচ্ছে। পরে সন্ধ্যায় শিয়ালদায় মোমবাতি মিছিল করেন টেট আন্দোলনকারীরা। এমনকি জানা যাচ্ছে এই মিছিল থেকে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও নাকি উঠে আসে।