সভায় মহিলা কম! ক্ষোভে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার ঘাটালে (Ghatal) তৃণমূলের (Trinamool Congress) জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম আর সেই কারণেই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটির অর্থ অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্য জনসভায় এহেন বক্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়।

পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার পূর্বে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে সরিয়ে জনসমক্ষে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে বর্তমানে গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। এই কর্মসূচি ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। উক্ত কর্মসূচির আওতায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে অন্যান্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় বাংলার মানুষকে। তবে এর মাঝেই বিতর্ক বাড়িয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা।

গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের দাসপুরে দলীয় কিষান ক্ষেতমজুর সংগঠনের তরফ থেকে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, শ্রীকান্ত মাহাতো থেকে অন্যান্য একাধিক নেতারা। তবে উক্ত জনসভায় বক্তৃতা দিতে উঠে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসেন অমলবাবু।

জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতির হার কম দেখে তিনি বলেন, “একটা পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখছি, আজ ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা কম। মায়েদের সংখ্যা এত কম কেন? আপনাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে, এটা মনে রাখবেন।” এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পূর্ণেন্দুদাকে বলব, দিদিকে বলে লক্ষ্মী ভাণ্ডার বন্ধ করে দিন।”

laxmi bhandar mamata

তৃণমূল নেতার এহেন বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মহিলাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে জনসভায় মহিলাদের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি মাঝে শাসকদলের একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর