বাংলাহান্ট ডেস্ক : খেরসান (Kherson) শহর থেকে রুশ সেনা (Russian Army) প্রত্যাহারের পর শুক্রবার অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেনীয় (Eukraine) সেনারা। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর শহরে প্রবেশে করতেই উল্লাসে মেতেছেন স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা উল্লাস করছেন, ইউক্রেন ও সেনাবাহিনীর প্রশংসাসূচক স্লোগান দিচ্ছেন, কারও হাতে রয়েছে ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা।
বুধবার রুশ সেনাদের খেরসান ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। গত সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসান সেগুলোর একটি। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড ছিল খেরসান। খেরসন প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসান শহর। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে খেরসান শহরের অবস্থান।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার দাবি করে, ইউক্রেনে তাদের দখল করা খেরসন শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করেছে। খেরসন প্রদেশে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরের এই শহর থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারকে মস্কোর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে খেরসান শহর মুক্ত করার উৎসব করেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। খেরসান পরিষদের প্রথম উপ-প্রধান ইউরি সোবোলেভস্কি টেলিগ্রামে লেখেন, খেরসনকে ভাঙা সম্ভব নয়। আজ মানুষ ফ্রিডম স্কয়ারে ইউক্রেনের পতাকা হাতে আবারও আসতে পেরেছেন, শত্রুরা আমাদের শহর দখলের আগে যেমন ছিল।’
ইউক্রেনবাসীরা খেরসন সিটি সেন্টারে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাশিয়া শহরটি দখল নেওয়ার পরও তারা ইউক্রেনের হয়ে সক্রিয় ছিলেন। শহরে থেকে যাওয়া বেশিরভাগ বাসিন্দা নিজেদের ঘরেই বন্দি রেখেছেন। ইউক্রেনীয়দের মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অর্ধেকের মতো রুশ সেনা পশ্চিম তীর ছেড়ে চলে যায়।