বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তর ভারত থেকে ঢুকছে দূষিত বায়ু। আর তার জেরেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের বাতাস। তাই পরিত্রাণ পেতে এবার সীমানা বরাবর গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। জানা যাচ্ছে, বায়ু দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঝাড়খণ্ড এবং বিহার সীমানা বরাবর গাছ লাগানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। আইআইটি দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি সমীক্ষা করে সেখানে দেখা যায় এ রাজ্যের সামগ্রিক দূষণের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই আসে অন্য রাজ্য থেকে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানান, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে উত্তর ভারত থেকে দূষিত বায়ু ঢোকে এ রাজ্যে। দূষণের মোকাবিলা করতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এই বায়ুকে। রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় ঢোকা এই দূষিত বায়ুর প্রভাব কমাতে হবে। দূষণের মাত্রা পরীক্ষার জন্য বন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে নতিন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’
কিন্তু সমস্যা হল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা পরিবেশ দফতর চাইলেই তো আর এত বড়ো পরিকল্পনা রূপায়ণ করা সম্ভব নয়। কারণ বৃক্ষ রোপণের দায়িত্ব পুরোটাই থাকে বন দফতরের হাতে। তা ছাড়া বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমানার ঠিক কোথা দিয়ে এই বায়ু প্রবেশ করছে তা বলা এক প্রকার অসম্ভব। তবে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাকুড়া, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী নেওয়া হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে মানসবাবু জানা, ‘আমরা অগ্রধিকারের ভিত্তিতে দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভাব্য সমস্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অন্তঃরাজ্য সীমানা বরাবর একটি সুবিশাল বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবটি বন দফতরের কাছে পাঠানো হবে।’ প্রসঙ্গত, সাধারণত জলীয় বাষ্প এবং তাপমাত্রা কমে গেলে বাতাসে ভাসমান ধুলিকণা নিচে নেমে আসে। এবং তা মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।