বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিন (China) থেকে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কিনে সমস্যায় পড়লো বাংলাদেশ (Bangladesh)। তাঁদের দাবি তাঁরা দেশের সুরক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ করে এই অস্ত্র কিনেছিলো। কিন্তু তা দেখাশোনা করতে গিয়ে বিশাল খরচ হচ্ছে বলে বাংলাদেশের নৌবাহিনী ঢাকায় খবর পাঠিয়েছে। তাঁদের আরও দাবি এই সকল যুদ্ধাস্ত্র যেন বাতিল করা হয়। শুধু তাই নয়, নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অরোও জানান, ভবিষ্যতে যখন কোনো অস্ত্র কেনা হবে তাঁরা যেন ভারতের ওপর ভরসা রাখে কারণ সামরিক অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি তাঁদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সংবাদ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ চিন থেকে দুটি সাবমেরিন কিনছিলো। এছাড়াও চিন থেকে আসা আরও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করছে তাঁরা। এমনকী নৌবাহিনীর নতুন বন্দর নির্মাণের জন্য চিনের রাজধানী বেজিং থেকে বিপুল অর্থের টাকা জিনিসপত্র কিনেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। কিন্তু এবার এই সব অস্ত্র তথা জিনিসপত্রের গুণগত মান নিয়ে সংশয় জেগেছে বাংলাদেশের মনে।
বাংলাদেশের নৌবাহিনীর অফিসারদের দাবি এই সকল অস্ত্র সাগরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নানান সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা। এমনকী তাঁরা আরও একটি অসুবিধার কথা উল্লেখ করে বলেন, চিন সরকারের কাছ থেকে তাঁদের যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে জিনিসগুলির প্রয়োজন সেগুলিও সঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ৪-৫ মাস ধরে তাঁরা সেই সব জিনিসের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সরঞ্জামগুলির দাম ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এই বছরেই বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে বিপুল টাকার ড্রোন কিনতে চলেছে। এই ড্রোন আগে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এবার এই ড্রোন বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র চিন নয়, এই বছরে বাংলাদেশ বিপুল অর্থ ব্যয় করে তুরস্ক থেকেও বহু ড্রোন এনেছে। গত জুলাই মাসে ড্রোন কেনার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরানের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকার চুক্তিও করে ফেলেছে । কিছুদিনের মধ্যেই তুরস্ক থেকে ‘TB-2 Bayraktar’ ড্রোন ঢাকায় এসে পৌঁছবে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত সেই ড্রোনই এবার নিজেদের অস্ত্রাগারে রাখতে চলেছে বাংলাদেশের সেনা।