বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপের জেরে বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে চিন (China)। সেই রেশ ক্রমশ বজায় রেখে চলেছে জিনপিংয়ের দেশ। মূলত, চিন তার সম্প্রসারণ নীতি এখনও বজায় রেখেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের একাধিক দেশে বিভিন্নভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে তারা। এই প্রসঙ্গে একটি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ দাবি করেছে যে, চিন বিশ্বজুড়ে একাধিক অবৈধ পুলিশ স্টেশন খুলছে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশে বসবাসকারী চিনা নাগরিকদের ওইসব থানায় বন্দি করে রাখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, বাইরের দেশে চিনের এহেন হস্তক্ষেপ সেসব দেশকে ভাবতে বাধ্য করেছে।
বর্তমানে এইসব দেশে রয়েছে চিনের অবৈধ থানা: এই প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির মতে, নেদারল্যান্ড, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া সহ মোট ২১ টি দেশের ২৫ টি শহরে এই ধরণের অবৈধ থানা তৈরি করেছে চিন। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ সরাসরি যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যায়।
এইসব থানার উদ্দেশ্য: স্পেনের সিভিল সাইট গ্রুপকে উদ্ধৃত করে ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম তাদের রিপোর্টে বলেছে, চিনের ফুঝো ও কিংতিয়ান শহরে উপস্থিত অধিকারিকরা এই ধরণের অবৈধ থানা পরিচালনা করছেন। ওই থানাগুলির প্রথম উদ্দেশ্য হল অন্যান্য দেশে বসবাসকারী চিনা প্রবাসীদের চিনে ফিরে যেতে প্ররোচিত করা। পাশাপাশি, দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হল, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে যাঁরা আওয়াজ তোলেন তাঁদের প্রত্যক্ষভাবে ভয় দেখানো।
রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ: উল্লেখ্য যে, প্রায়শই চিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তোলে। পাশাপাশি, এখন বলা হচ্ছে যে, চিন এইভাবে অবৈধ থানা তৈরি করে বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করছে। এদিকে, চিন এভাবেই আফ্রিকায় গুপ্তচরবৃত্তি করত। যেটির নেটওয়ার্ক ক্রমশ বাড়ছে।
কি জানিয়েছে চিন: যদিও, এই অভিযোগের প্রসঙ্গে চিনের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি। তবে, চিন সরকার এই দাবি অস্বীকারও করছে না। মূলত, কানাডায় চিনা দূতাবাস জানিয়েছে, এই ধরণের পুলিশ স্টেশন স্থাপনের উদ্দেশ্য হল, সেদেশে বসবাসরত চিনা নাগরিকদের সহায়তা করা।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…