পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০১৬-র শাপমুক্তি! বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় T-20 বিশ্বকাপ জেতালেন স্টোকস

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ১৯৯২ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের ফলাফলের পুনরাবৃত্তির আশায় এক বালতি জল ঢেলে দিল ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দেশকে তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতালেন স্টোকস, ক্যারানরা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৩৭ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছিল পাকিস্তান। সৌজন্যে আদিল রশিদ ও স্যাম ক্যারানের দুরন্ত বোলিং। তারপর ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসের অর্ধশতরানে ভর করে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতল ব্রিটিশরা।

২০১৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৬ রান রক্ষা করতে পারেননি তিনি। এবার ক্যারিবিয়ান দৈত্য। কার্লোস ব্রেথওয়েট তার ওই ওভারের প্রথম চার বলে চারটি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছিলেন। দেশকে জেতাতে না পারার সেই জ্বালা বহুদিন কষ্ট দিয়েছিল স্টোকসকে। তারপর নিজের দেশকে যদিও ওডিআই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দলের জয় বড় ভূমিকা রেখে যেন নিজের শাপমোচন করলেন তিনি।

আজ টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়কের জস বাটলার। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। পাকিস্তানের ওপেনাররা সেমিফাইনালে সাফল্য পেলেও গোটা টুর্নামেন্টে ব্যর্থ ছিলেন। আজও সেই রীতি মেনে ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম। গোটা পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপ আদিল রশিদ এবং স্যাম ক্যারানের বোলিংয়ের সামনে কেঁপে যায়। শান মাসুদ এবং শাদাব খানের চেষ্টার ফলে ইংল্যান্ড কিছুটা লড়াই করার মতন স্কোর খাড়া করতে পেরেছিল। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন আদিল রশিদ। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট নিয়েছিলেন স্যাম ক্যারান।

এরপর ইংল্যান্ডে ইনিংস ওপেন করতে নামলে প্রথম ওভারেই ভারতের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং করা অ্যালেক্স হেইলসকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের সমর্থকদের কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন শাহীন আফ্রিদি। আগ্রাসি শুরু করলেও পাওয়ার প্লেতেই অধিনায়ক বাটলার কেউ ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন পাক বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছিল পাকিস্তান।

কিন্তু এই জায়গায় নিজের অভিজ্ঞতার পরিচয় দেন স্টোকস। টার্গেট বড় ছিলনা, তাই অযথা আক্রমণ করার ঝুঁকি নেননি। প্রথমে ব্রুক (২০) এবং পরে মঈন আলীকে (১৯) সঙ্গে নিয়ে দুটি কার্যকরী পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। পর্যন্ত ৪৯ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে কাঙ্খিত জয় এবং নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এনে দেন তিনি।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর