বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি, প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি আর এর মাঝে চাকরির সুপারিশ করে চিঠি দেওয়ার মাধ্যমে খবরের শিরোনামে এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী। প্রাইমারিতে চাকরি করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ পত্র ভাইরাল হতেই ইতিমধ্যে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। যদিও এই ঘটনার পিছনে বিরোধীদের চক্রান্ত রয়েছে বলেই অভিযোগ জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ (Mahua Gope)।
একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অশোক সাহারা ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। আর এর মাঝেই এবার তৃণমূল জেলা নেত্রী মহুয়া গোপের একটি কর্মকাণ্ড আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে বর্তমানে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটি সুপারিশপত্র ভাইরাল হয়ে চলেছে, যেখানে তৃণমূল নেত্রী তিন প্রার্থীকে প্রাইমারিতে চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ চিঠি দেন।
এক্ষেত্রে উক্ত তিনজনের টেট পরীক্ষায় পাস করার খবর সামনে আসতে নতুন করে জলঘোলা সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, অতনু দাস, স্বপন বিশ্বাস এবং ইভানা পারভিন নামে তিন প্রার্থীকে প্রাইমারিতে সুপারিশ করেন মহুয়া গোপ। ২০১৬ সালের ওই সুপারিশ পত্রে নাম রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর আর এই চিঠিটি ভাইরাল হতে ইতিমধ্যেই শাসকদলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে পাস করা সকল প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা পর্ষদ। এক্ষেত্রে মহুয়া গোপের সুপারিশ করা তিনজনের নাম ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে। তিন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা না গেলেও এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলেই দাবি বিজেপির। এদিন বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ বলেন, “মহুয়া গোপের সুপারিশের জন্যই তিনজন প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন, এটা আমরা অনেক আগে থেকেই বলে এসেছি। টাকার বিনিময়ে এই চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই অতীতে আদালতে মামলা করার হুমকি দিলেও সেই সাহস হয়নি তৃণমূল নেত্রীর।”
অপরদিকে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন জেলা সভাপতি ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। আমি যদি সুপারিশ করে থাকি, এর মধ্যে দোষের অন্তত কিছু নেই। এসব কিছু বিরোধীদের চক্রান্ত।”