বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: যেভাবে দাপট দেখিয়ে সেমিফাইনালে ভারত এবং ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড তারপর আর কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না তারা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা টিটোয়েন্টি দল সেই নিয়ে। অ্যাডিলেডে ভারতকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। আজ পাকিস্তানকে ধ্বংস করলেন তাদের দুই বোলার। দলে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই অপরিসীম গভীরতই হলো তাদের এই সাফল্যের মূল কারণ।
ভারত চলতি বছরের জুলাই মাসেই ইংল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে এসেছিল। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর বিশ্বকাপ দুটিকে যে আলাদা নজরে দেখেন বাটলাররা, সেটা নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ করে দিয়েছেন তারা। ভারতের অ্যাডিলেডের ব্যাটিং বান্ধব পিচে করা ১৬৮ রান চার ওভার বাকি থাকতেই কোন উইকেট না খুইয়েই তুলে ফেলেছিল তারা।
আর আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের প্রথমে বোলিং করে তাদেরকে বেঁধে রাখলেন ১৩৭ রানে। পাকিস্তানের পেশারদের সামনে শুরুতে একটু চাপে পড়লেও মোটামুটি স্বস্তিজনক ভাবেই এক ওভার বাকি থাকতে প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলেছেন তারা। এখন প্রশ্ন হলো যে দল আয়ারল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষর কাছে হেরে গিয়েছিল তারা কিভাবে এত শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষকে এত অবলীলায় হারালো?
এর মূল কারণ হলো দলে একাধিক অলরাউন্ডারের উপস্থিতি। ইংল্যান্ড দলে এখন মোট ৭ জন এমন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা প্রয়োজনে বল করতে পারেন। দলে দশজন ক্রিকেটার হলেন রীতিমতো দক্ষ ব্যাটার। দলে এমন গভীরতা থাকলে যে কোন টুর্নামেন্টে অধিনায়কের অনেক সুবিধা হয়ে যায়।
কোন নির্দিষ্ট দিলে একজন ক্রিকেটার অফ ফর্মে থাকলে তার ঘাটতি বাকিরা পূরণ করে দেন। তাই সেমিফাইনাল এর আগে দলের প্রধান পেসার মার্ক উড এবং এই মুহূর্তে ক্রমতালিকা দিক দিয়ে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার ডেভিড মালানকে হারিয়েও কোনও অসুবিধা হয়নি তাদের। ওডিআই বিশ্বকাপের পাশাপাশি এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছেন বাটলাররা।