এদেশে বয়ে চলে রহস্যময় নদী! জলের রং রক্তের মতো লাল, জেনে নিন এর কারণ কী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য (Mystery)। যে রহস্যগুলি রীতিমতো অবাক করে দেয় সবাইকে। এমনকি, বিজ্ঞানীরাও এই রহস্যগুলির উন্মোচনের জন্য বছরের পর বছর ধরে গবেষণায় লিপ্ত থাকেন। অনেকক্ষেত্রে দীর্ঘ গবেষণার পরেও অমীমাংসিত থেকে যায় সমাধান। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একটি রহস্যময় নদীর প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করবো যা কার্যত স্তম্ভিত করে দেবে প্রত্যেককেই। এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।

মূলত, ওই ভিডিওটিতে এক চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ভিডিওটিতে দৃশ্যমান নদীটির জলের রঙেই রয়েছে চমক। রীতিমতো রক্তের মত লাল ওই নদীর জল। আর ওই দৃশ্য দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সবার। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই এই অবিশ্বাস্য ঘটনা পরিলক্ষিত করে ওই নদীটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন সবাই। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করা হল।

   

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই নদীটি পেরুতে রয়েছে। আর পাঁচটা নদীর তুলনায় এই নদীর জলের রং সম্পূর্ণ আলাদা। হঠাৎ করে এই নদীর দিকে তাকালে মনে হবে ঠিক যেন “রক্ত নদীর ধারা” বইছে। পাশাপাশি, এই নদীটি অত্যন্ত খরস্রোতাও। এমতাবস্থায়, একটি উপত্যকার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা এই নদীর ভিডিওটি পুরোনো হলেও তা সম্প্রতি ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

এদিকে, পেরুর কুসকোতে বয়ে যাওয়া এই নদীর জলের ভিন্ন রঙের প্রসঙ্গে কিছু তথ্যও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, নদীটির প্রবাহপথের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান খনিজ উপাদানের কারণে নদীর জলের রং লাল হয়ে গেছে। মূলত, আয়রন অক্সাইডের অত্যধিক উপস্থিতির কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ভাইরাল ভিডিওটি দেখে চক্ষু চড়কগাছ সবার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, স্থানীয়ভাবে এই নদীর নাম হল পুকামায়ু। যেখানে কেশুয়া ভাষায় “পুকা” মানে হল লাল এবং “মায়ু” মানে হল নদী। এদিকে, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে নদীটির ভিডিও। @Prachi_Ras নামের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে এটি। পাশাপাশি, প্ৰতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত এই ভিডিওটি ৩৯ লক্ষেরও বেশি জন দেখেছেন। সর্বোপরি, ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের মতামতও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর