বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্পষ্ট বক্তব্য শি জিনপিং – এর। তাইওয়ান (Taiwan) বিতর্কে চিনের (China) স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপস করা হবে না। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালিতে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Jeo Biden) স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিলেন চিনা রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং (She Jinping)।
বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মাঝেই সোমবার পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে, সেই বৈঠকে জিনপিং সরাসরি বাইডেনকে জানান, কোনও পরিস্থিতিতেই ‘এক চিন নীতি’ থেকে বেজিং সরে আসবে না। ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানকে মূল চিনা ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার বার্তাও এদিন দেন জিনপিং। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম দাবি করে তাইওয়ানের বিষয়টিকে ‘চিনা স্বার্থের ভরকেন্দ্র’। এদিন জিনপিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই সীমারেখা যেন কোনও অবস্থাতেই লঙ্ঘন করা না হয়।’
প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গত ২ অগস্ট তাইওয়ান সফরে যান আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার পর থেকেই তাইওয়ান প্রণালী এবং পাশের চিন সাগরে বেজিং-এর সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটে। এই পরিস্থিতিতে চিনা হামলার আশঙ্কার কথা জানায় তাইওয়ানও।
এই রকম উত্তেজনার পরিস্থিতিতেই তাইওয়ানকে সাহায্য করতে সক্রিয় হয় বাইডেন সরকার। আমেরিকা সপ্তম নৌবহরের ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম, ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ইউএসএস হিগিন্সের মতো রণতরী মোতায়েন করা হয় তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে। বাইডেনের উদ্যোগে আমেরিকার কংগ্রেসে চিনা হামলা ঠেকানোর জন্য তাইওয়ানকে ১১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮,৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে বেজিংয়ের অভিযোগ করে, তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার জন্য ধারাবাহিক ভাবে তাওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতা’কে মদত দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের বৈঠকে জিনপিংয়ের কড়া অবস্থানে, তাইওয়ান সঙ্কট আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মহল।