বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জেরে জর্জরিত সকলেই। এমনকি, এর ফলে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও। এদিকে, মুদ্রাস্ফীতির আঁচ এসে লেগেছে আমাদেরও রাজ্যে। এমতাবস্থায়, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই গত সোমবার একাধিক জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকও সারেন তিনি।
সবজির দর থেকে শুরু করে মাংসের দাম প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শীতের মরশুমে উৎপাদিত ফসল বাজারে চলে আসার পর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এদিকে, ফুলকপির দাম এখনও কেন ৪০ টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষকে কিনতে হচ্ছে সেই প্রসঙ্গেও টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সরাসরি প্রশ্ন করে এই দাম কমানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমঘর থেকে আলু বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “হিমঘরে থাকা মজুত আলুর মধ্যে ৫০ শতাংশ আলু বের করে দিন। আলু সোনা নয়, যে রেখে দিলে দাম বেড়ে যাবে।” পাশাপাশি, চাষিরাও যে আলুর দাম পাচ্ছে না, সেই বিষয়েও সরব হন তিনি। উল্লেখ্য যে, হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে হিমঘর থেকে আলু বেরিয়ে যাবে। পাশাপাশি, সবজি ও মাছও মজুত না রেখে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, মুরগির মাংসের বাড়তে থাকা দাম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মুরগির মাংসের দাম এত বেশি হলে মানুষ খাবে কি করে?” পাশাপাশি, এই মাংসের দাম যাতে কেজি প্রতি ১৫০ টাকার বেশি না হয় সেই প্রসঙ্গও উপস্থাপিত করেন তিনি। এছাড়াও, পোলট্রির খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পোলট্রির খাবারের বর্ধিত দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যেই খাবার তৈরি করা হোক।
যদিও এদিন, মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, পেট্রোল ডিজেলের দাম এখন গোটা দেশে আকাশ ছুঁয়েছে। শুধুমাত্র গত তিন বছরেই ডিজেলের দাম ৩৬ শতাংশ ও পেট্রোলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান তিনি। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বাজারগুলিতে। তবে, রাজ্যের বাজার তুলনামূলক ভাবে স্থির রয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।