বাংলাহান্ট ডেস্ক : অমিত শাহ (Amit Shah) এবং নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। একবিংশ শতকের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফল রাজনৈতিক জুটি। এই ব্যক্তির জন্মই গুজরাটে (Gujarat)। শুধু তাই পাশাপাশি দুটি গ্রামেই জন্মেছেন তাঁরা। ভদনাগর গ্রামে ১৯৫০ সালে জন্ম হয় মোদির। ১৪ বছর ৫০ কিলোমিটার দূরের মানসা নামে একটি গ্রামে জন্ম হয় অমিত শাহর। তখন কে জানতো যে এই দুই সাধারণ গ্রামের ছেলেই একসময় রাজত্ব করবে গোটা বিশ্বে। তবে মজার বিষয় হলো, অমিত শাহর সেই জন্মগ্রাম আজ কংগ্রেসের শক্তিশালী গড়। গুজরাট নির্বাচনের আগে সামনে এল সেই তথ্য।
১৯৬৪ সালে ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক অজ পাড়াগ্রামে জন্ম নেন। সেই বছরই লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিএল নন্দ প্রতিশ্রুতি দেন ১ বছরের মধ্যেই অবলুপ্তি ঘটাবেন ৩৭০ ধারার। প্রতিশ্রুতি বৃথাই যায়। ১ বছর তো দূরে থাক কংগ্রেসের পক্ষে তা করা কোনও দিনই সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেদিনের সেই সদ্যোজাত শিশু ৫৫ বছর পর ২০১৯ সালে ধারা ৩৭০-এর অবলুপ্তিকে বাস্তব করে দেখিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মানসা এবং ভদনাগর দুটি আসন হেরে যায় বিজেপি। এই মানসাতেই রয়েছে আমিত শাহর আদি বাড়ি। এমনকি নিজের বংশের ইষ্টদেবতার মন্দির রয়েছে এই বাড়িতেই। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এই বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের জন্মগ্রামেই পদ্ম ফোটেনি পরের ৩ বার। মানসা গ্রাম প্রথম বিজেপির হাতছাড়া হয় ২০১২ সালে। সেবার উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মোহন সিংহ ঠাকুর ৮ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন বিজেপির ডিডি প্যাটেলকে।
কিন্তু অমিত শাহর নিজের গ্রামেই বিজেপির এই দশা কেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্থানীয় বাসিন্দা পাপ্পু ব্যাস। তিনি জানান, ‘দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বই বিজেপির হারের প্রধান কারণ। পতিদার সমাজের দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়, যার মধ্যে ফায়দা লোটে কংগ্রেস।’ তবে এবার আর এমন হবেনা বলেই জানান তিনি। জানা যাচ্ছে মানসাতে ঠাকুর এবং পতিদার গোষ্ঠীই সবচেয়ে বড়। তাই যে দল এই দুই গোষ্ঠীর ভোট পাবে সে দলের কাছেই থাকবে মানসার ক্ষমতার রাশ।