অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! ভারতের প্রথম ব্যক্তিগত রকেট Vikram-S-এর উৎক্ষেপন হচ্ছে আজ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো প্রাইভেট স্পেস কোম্পানির রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে মঙ্গলবার। ৩ টি পেলোড সহ এই বিশেষ রকেটটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (Indian Space Research Organisation, ISRO) শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই রকেটটির নাম হল Vikram-S।

কারা বানিয়েছে রকেটটি: প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই রকেটটি তৈরি করেছে হায়দ্রাবাদের স্কাইরুট অ্যারোস্পেস কোম্পানি। এই প্রসঙ্গে কোম্পানির সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবন কুমার চন্দনা জানিয়েছেন যে, বিখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং ISRO-র প্রতিষ্ঠাতা ডঃ বিক্রম সারাভাই-এর নামানুসারে রকেটটির নামকরণ করা হয়েছে Vikram-S।

পাশাপাশি, এই উৎক্ষেপণের নাম দেওয়া হয়েছে মিশন প্রারম্ভ (Mission Prarambh)। স্কাইরুট কোম্পানির মিশন প্রারম্ভের মিশন প্যাচ উন্মোচন করেন ISRO প্রধান ডঃ এস. সোমনাথ। এদিকে, এই প্রথমবারের মত কোনো প্রাইভেট স্পেস কোম্পানির রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে মহাকাশে। যা নিঃসন্দেহে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক বিরাট সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Vikram-S-এর চমকপ্রদ কিছু বৈশিষ্ট্য:
১. Vikram-S একটি সাব-অরবিটাল উড়ান সম্পন্ন করবে। এটি একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল লঞ্চ ভেহিক্যাল, যা তিনটি বাণিজ্যিক পেলোড বহন করছে।
২. এটি হবে এক ধরণের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। এটি সফল হলে বেসরকারি মহাকাশ সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির সঙ্গে যোগদান করবে ভারত।
৩. এই রকেট দিয়ে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে ছোটো উপগ্রহ স্থাপন করা হবে।
৪. স্কাইরুট অ্যারোস্পেস ২০২১-এর ২৫ নভেম্বরে নাগপুরে সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের টেস্ট ফ্যাসিলিটিতে তার প্রথম 3D প্রিন্টেড ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন সফলভাবে পরীক্ষা করে।

Skyroot Aerospace Vikram II Rocket e1601354685203
৫. এই প্রসঙ্গে স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান শিরীষ পল্লিকোন্ডা জানিয়েছেন, 3D ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন সাধারণ ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য। এছাড়াও এটি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সস্তা।
৬. এদিকে, সস্তায় লঞ্চের ফলে রকেটের জ্বালানিতেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এই উৎক্ষেপণে সাধারণ জ্বালানির পরিবর্তে LNG অর্থাৎ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তরল অক্সিজেন (LoX) ব্যবহার করা হবে। এটি যেমন লাভজনক তেমনি দূষণমুক্ত।
৭. এই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পরীক্ষাকারী দলের নাম হল লিকুইড টিম। এতে প্রায় ১৫ জন তরুণ বিজ্ঞানী কাজ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর