মহিলাদের ‘খৎনা” বন্ধ করার পরামর্শ! রাষ্ট্রসংঘে কোস্টারিকার তোপের মুখে ভারত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে ভারত (India)। বিশেষ করে ভারতবর্ষে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। এবার যোনিচ্ছেদ প্রথা বা মহিলাদের খৎনা নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করল কোস্টারিকা। লাতিন আমেরিকার এই ছোট্ট দেশটি ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই প্রথা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কোস্টারিকা ভারতের বিরুদ্ধে যোনিচ্ছেদ প্রথা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ বা ইউপিআর-এ সরব হয়। সান হোসে উপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের ৪১ তম মানবাধিকার মূল্যায়ন বৈঠকে ১০ সেপ্টেম্বর জেনেভায় নয়াদিল্লির কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন জানিয়েছে কোস্টারিকা।

এগুলোর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলো যোনিচ্ছেদ প্রথা নিয়ে কোস্টারিকার মতামত। তারা ভারতে এই প্রথাকে আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি কোস্টারিকা ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছে যাতে জাতীয় স্তরে পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এই প্রথা ভারত থেকে সমূলে উচ্ছেদ করা যায়।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ বা ইউপিআর। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলো একে অপরের মানবাধিকারকে মূল্যায়ন করতে ও পরামর্শ জানাতে পারে। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলি এই প্রক্রিয়ায় তুলে ধরতে পারে মানবাধিকার রক্ষায় দেশগুলি কি কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে বা এর ফলাফল কি হতে পারে।

Female genital mutilation 2

প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর ধরে মূলত আফ্রিকা ও ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যোনিচ্ছেদ প্রথা প্রচলিত আছে। মূলত দাউদি বহরা মুসলমানদের মধ্যে যোনিচ্ছেদ প্রথা লক্ষ্য করা যায়। এর আগেও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও সেই ভাবে কোন ফল হয়নি। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোস্টারিকার এই বক্তব্য নতুন ভাবে চিন্তায় ফেলল দিল্লির সরকারকে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর